আমার মা ত্বং হি তারা
বাণী
আমার মা ত্বং হি তারা তুমি ত্রিগুণধরা পরাৎপরা মা ত্বং হি তারা। আমি জানি মা ও দীনদয়াময়ী তুমি দুর্গমেতে দুঃখহরা, মা ত্বং হি তারা। তুমি জলে তুমি স্থলে তুমি আদ্যমূলে গো মা, আছ সর্বঘটে অর্ঘ্যপুটে সাকার আকার নিরাকারা মা ত্বং হি তারা। তুমি সন্ধ্যা তুমি গায়ত্রী তুমি জগদ্ধাত্রী গো মা অকুলের প্রাণকর্ত্রী সদা শিবের মনোহরা। মা ত্বং হি তারা।।
আমার গহীন জলের নদী
বাণী
আমার গহীন জলের নদী আমি তোমার জলে ভেসে রইলাম জনম অবধি।। ও ভাই তোমার বানে ভেসে গেল আমার বাঁধা ঘর আমি চরে এসে বস্লাম রে ভাই ভাসালে সে চর। এখন সব হারিয়ে তোমার জলে রে আমি ভাসি নিরবধি।। ঘর ভাঙিলে ঘর পাব ভাই ভাঙ্লে কেন মন ও ভাই হারালে আর পাওয়া না যায় মনেরি রতন। ও ভাই জোয়ারে মন ফেরে না আর রে ও সে ভাটিতে হারায় যদি।। তুমি যখন ভাঙ রে নদী (ভাঙ যখন কূল রে নদী) ভাঙ একই ধার আর মন যখন ভাঙ রে নদী দুই কূল ভাঙ তার ও ভাই চর পড়ে না মনের কূলে রে ও সে একবার সে ভাঙে যদি, ও ভাই একবার সে ভাঙে যদি।।
আজ যুগের পরে ঘরে ফিরে
বাণী
আজ যুগের পরে ঘরে১ ফিরে মায়ের কথা পড়লো মনে। শূন্য ঘরে মন বসে না গুমরে মরে হিয়ার বনে।। আজো সে ঘর সবাই আছে, মা কেবলই নেই গো কাছে, — ঐ দাওয়া আর ঐ কানাচে আজো মায়ের স্বরটি রনে।। যত্ন কারুর সইতে নারি, কণ্ঠ ছিঁড়ে কান্না আসে; ওষ্ঠ চেপে যায় না রাখা, রূপ যে তোমার চক্ষে ভাসে! পাইনি মাগো সাতটি বরষ একটুকু ক্ষীণ স্নেহের পরশ, — (ও মা) ‘বুনো’ তোমার হ’ল না বশ চল্লো ফিরে ফের বিজনে। হার্লো স্নেহ বাঁধন-হারার বাঁধ্তে নিয়ে ডোর-সৃজনে।।
১. ঘরকে