বাণী

[ওম্ সর্বমঙ্গল্যে শিবে সর্বার্থসাধিকে।
শরণ্যে ত্র্যম্বকে গৌরী নারায়ণী নমোস্তুতে।।]
	জয় দুর্গা, জননী, দাও শক্তি
	শুদ্ধ জ্ঞান দাও, দাও প্রেম-ভক্তি,
অসুর-সংহারি কবচ-অস্ত্র দাও মা, বাঁধি বাহুতে।।
অর্থ-বিভব দাও, যশ দাও মাগো, প্রতি ঘরে দাও শান্তি,
পরম-অমৃত দাও, দূর কর’ মৃত্যু-সম বাঁচিয়া থাকার এই ক্লান্তি।
	শ্রান্তিবিহীন উৎসাহ দাও কর্মে
	নবীন দীক্ষা দাও শক্তির ধর্মে
মোদের রক্ষা কর’ বরাভয় বর্মে, চিন্ময় জ্যোতি দাও প্রতি অণুতে।।

বাণী

জাগো মালবিকা! জাগো মালবিকা!
ডাকে তোমায় গগন-সীমায় মেঘ-বালিকা।।
বরষার মিনতি মানো, মেঘপানে ভুরু হানো,
বন-ডালি ভরি' আনো নীপ-যূথিকা।।
তব অবগুণ্ঠন খোলো, তমাল ঝুলনায় দোলো,
তরঙ্গ-লহরি তোলো সাগরিকা।।

বাণী

জাগো	জাগো গোপাল নিশি হ’ল ভোর,
কাঁদে		ভোরের তারা হেরি’ তোর ঘুম-ঘোর॥
		দামাল ছেলে তুই জাগিস্‌নি তাই
বনে		জাগেনি পাখি ঘুমে মগ্ন সবাই ,
		বাতাস নিশ্বাস ফেলে খুঁজিছে বৃথাই
তোর		বাঁশরি লুটায়ে কাঁদে আঙিনায় মোর॥
তুই		উঠিস্‌নি ব’লে দেখ রবি ওঠেনি
ঘরে		আনন্দ নাই, বনে ফুল ফোটেনি।
		ধোয়াবে বলিয়া তোর মুখের কাজল
		থির হ’য়ে আছে ঘাটে যমুনার জল,
		অঞ্চল-ঢাকা মোর, ওরে চঞ্চল,
আমি		চেয়ে আছি কবে ঘুম ভাঙিবে তোর॥

বাণী

জানি আমার সাধনা নাই আছে তবু সাধ।
তুমি আপনি এসে দেবে ধরা দূর-আকাশের চাঁদ।।
	চকোর নহি মেঘও নহি
	আপন ঘরে বন্দী রহি’
আমি শুধু মনকে কহি কাঁদ নিশি দিন কাঁদ।।
কূল-ডুবানো জোয়ার কোথা পাব হে সুন্দর?
হে চাঁদ আমি সাগর নহি পল্লী-সরোবর।
	নিশীথ রাতে আমার নীরে,
	প্রেমের কুমুদ ফোটে ধীরে,
মোর ভীরু প্রেম যেতে নারে ছাপিয়ে লাজের বাঁধ।।

বাণী

জল ছল ছল এসো মন্দাকিনী।
রস-ঢলঢল বারি-সঞ্চারিণী।।
হৃদয়-গগন আজি তৃষ্ণা-ভরে
উতল হইল প্রেম-গঙ্গা-তরে,
মুদিত নয়ন খোলো বৈরাগিনী।।
বিরস ভুবন রাখ সঞ্জীবিতা
সজল সলিল আনো হিল্লোলিতা,
ঝর ঝর ঝর স্রোত-উন্মাদিনী।।

বাণী

	জয়, আনন্দ-ভৈরব ডমরু পিনাক-পাণি,
গঙ্গাধর চন্দ্র চূড় শিব তীব্র-ধ্যানী।।
	তব সূর্যকান্তি রাগে
	প্রাণে প্রভাত-শান্তি জাগে,
পর প্রধান পূর্ণরূপ, হে শুদ্ধ জ্ঞানী।।
সরল মতি শঙ্কর হে, নাচো গরল পিয়ে,
আশুতোষ তুষ্ট তুমি বিল্বদল নিয়ে।
	মৃত্যু-ভীত বিশ্বজনে
	তমসা মগন ভুবনে,
শোনাও আনন্দিত মাভৈঃ অভয়বাণী।।