বাণী

রক্ষা-কালীর রক্ষা-কবচ আছে আমায় ঘিরে
মায়ের পায়ের ফুল কুড়িয়ে বেঁধেছি মোর শিরে॥
	মা’র চরণামৃত খেয়ে
	অমৃতে প্রাণ আছে ছেয়ে,
দুঃখ অভাব ভাবনার ভার দিয়েছি মা ভবানীরে॥
তারা নামের নামাবলী জড়িয়ে আমার বুকে,
মায়ের কোলে শিশুর মত ঘুমাই পরম সুখে।
	মা’র ভক্তের চরণ ধূলি
	নিয়েছি মোর বক্ষে তুরি
মায়ের পূজার প্রসাদ পেতে আমি আসি ফিরে ফিরে॥

বাণী

রাখ রাখ রাঙা পায়, হে শ্যামরায়!
ভুলে গৃহ স্বজন সবই সঁপেছি তোমায়॥
সংসার মরু ঘোর, নাহি তরু-ছায়া,
নব নীরদ শ্যাম, আনো মেঘ-মায়া;
আনন্দ-নীপবনে নন্দ-দুলাল এসো,
বাহও উজান, হরি, অশ্রুর যমুনায়॥
একা জীবন মোর গহন ঘন ঘোর,
এসো এ বনে বনমালী, গোপ কিশোর,
কুঞ্জ রচেছি দুখ-শোক তমাল-ছায় -  
প্রেম-প্রীতির গোপী চন্দন শুকায়ে যায়॥
দারা সুত প্রিয়জন, হরি হে, নাহি চাই,
পদ্মা-পলাশ-আঁখি যদি দেখিতে পাই;
রাখাল-রাজা এসো, এসো হে ঋষিকেশ,
গোকুলে লহ ডাকি’, অকূলে ভাসি হায়॥

বাণী

রাস-মঞ্চে দোল-দোল লাগে রে, জাগে ঘূর্ণি-নৃত্যের দোল।
আজি রাস-নৃত্য নিরাশ চিত্ত জাগো রে,
চল যুগলে যুগলে বন-ভবনে -  
আনো নিথর হেমন্ত হিম পবনে চঞ্চল হিল্লোল॥
শতরূপে প্রকাশ আজি শ্রী হরি,
শত দিকে শত সুরে বাজে বাঁশরি -  
সকল গোপিনী আজি রাই কিশোরী, -
যাবে তৃষ্ণা, পাবে কৃষ্ণের কোল॥
তরল তাল ছন্দ-দুলাল নন্দ-দুলাল নাচে রে,
অপরূপ রঙ্গে নৃত্য-বিভঙ্গে অঙ্গের পরশ যাচে রে;
মানস-গঙ্গা অধীর-তরঙ্গা প্রেমের-যমুনা হ’ল রে উতরোল॥

বাণী

রোজ হাশরে আল্লা আমার ক'রো না বিচার (আল্লা)
বিচার চাহি না তোমার দয়া চাহে এ গুনাহ্‌গার।।
	আমি জেনে শুনে জীবন ভ'রে
	দোষ করেছি ঘরে পরে
আশা নাই যে যাব ত'রে বিচারে তোমার।।
বিচার যদি করবে কেন রহমান নাম নিলে।
ঐ নামের গুণেই ত'রে যাব, কেন এ জ্ঞান দিলে।
	দীন ভিখারি ব'লে আমি
	ভিক্ষা যখন চাইব স্বামী
শূন্য হাতে ফিরিয়ে দিতে পারবে নাকো আর।।

বাণী

রাধা-তুলসী, প্রেম-পিয়াসি, গোলকবাসী শ্রীকৃষ্ণ নারায়ণ।
নাম জপ মুখে, মূরতি রাখ বুকে ধ্যান দেখ তারি রপ মোহন।।
	অমৃত রসঘন কিশোর-সুন্দর,
	নব নীরদ শ্যাম মদন মনোহর —
সৃষ্টি প্রলয় যুগল নূপুর শোভিত যাহার রাঙা চরণ।।
	মগ্ন সদা যিনি লীলারসে,
	যে লীলা-রস ভরা গোপী-কলসে,
কান্না-হাসির আলো-ছায়ার মায়ায় যাহার মোহিত ভূবন।।

বাণী

রুমঝুম্ রুমঝুম্ রুমঝুম্ ঝুম্‌ঝুম্‌
নূপুর বাজে আসিল রে প্রিয় আসিল রে।।
	কদম্ব-কলি শিহরে আবেশে
	বেণীর তৃষ্ণা জাগে এলোকেশে
হৃদি ব্রজধাম রস-তরঙ্গে প্রেম-আনন্দে ভাসিল রে।।
	ধরিল রূপ অরূপ শ্রী হরি
	ধরণী হলো নবীনা কিশোরী
চন্দ্রার কুঞ্জ ছেড়ে যেন কৃষ্ণ চন্দ্রমা-গগনে হাসিল রে।।
	আবার মল্লিকা-মালতী ফোটে
	বিরহ-যমুনা উথলি’ ওঠে
রোদন ভুলে রাধা গাহিয়া ওঠে সুন্দর মোর ভালোবাসিল রে।।