বাণী

ঘুম আয় ঘুম, ঘুম ঘুম ঘুম।
আকাশ-বাতাস জল থল উপবন সব হোক নিঝ্ঝুম।।
শান্ত হোক সব অশান্ত কলরোল
রে পথিক! জীবন-পথের ক্লান্তি ভোল্
নয়নে লাগুক সুখ-স্বপনের কুঙ্কুম।।

নাটক : ‘মধুমালা’ (ঘুমপরী স্বপনপরীর গান)

বাণী

ঘুমিয়ে গেছে শ্রান্ত হ’য়ে আমার গানের বুলবুলি —
করুণ চোখে চেয়ে আছে সাঁঝের ঝরা ফুলগুলি।।
ফুল ফুটিয়ে ভোর বেলাতে গান গেয়ে
নীরব হ’ল কোন নিষাদের বান খেয়ে;
বনের কোলে বিলাপ করে সন্ধ্যা–রাণী চুল খুলি’।।
কাল হ’তে আর ফুটবে না হায় লতার বুকে মঞ্জরী,
উঠছে পাতায় পাতায় কাহার করুণ নিশাস্‌ মর্মরি’।
গানের পাখি গেছে উড়ে, শূন্য নীড় —
কণ্ঠে আমার নাই যে আগের কথার ভীড়
আলেয়ার এ আলোতে আর আসবে না কেউ কূল ভুলি’।।

বাণী

ঘুমাইতে দাও শ্রান্ত রবি রে জাগায়ো না জাগায়ো না,
সারা জীবন যে আলো দিল ডেকে তার ঘুম ভাঙায়ো না।।
	যে সহস্র করে রূপরস দিয়া
	জননীর কোলে পড়িল ঢলিয়া
তাঁহারে শান্তি-চন্দন দাও ক্রন্দনে রাঙায়ো না।।
যে তেজ শৌর্য-শক্তি দিলেন, আপনারে করি ক্ষয়
			তাই হাত পেতে নাও।
বিদেহ রবি ও ইন্দ্র মোদের নিত্য দেবেন জয়
			কবিরে ঘুমাতে দাও।
	অন্তরে হের হারানো রবির জ্যোতি
	সেইখানে তারে নিত্য কর প্রণতি
	আর কেঁদে তাঁরে কাঁদায়ো না।।

বাণী

ঘরে যদি এলে প্রিয় নাও একটি খোঁপার ফুল।
আমার চোখের দিকে চেয়ে ভেঙে দাও মনের ভুল।।
অধর কোণের ঈষৎ হাসির আলোকে
বাড়িয়ে দাও আমার গহন কালোকে,
যেতে যেতে মুখ ফিরিয়ে দুলিয়ে যেয়ো দুল।।
একটি কথা ক’য়ে যেয়ো একটি নমস্কার
সেই কথাটি গানের সুরে গাইব বার বার,
হাত ধরে মোর বন্ধু ভুলো তোমার মনের সকল ভুল।।

নাটক : ‘মদিনা’

বাণী

	ঘর-ছাড়া ছেলে আকাশের চাঁদ আয় রে।
	জাফ্‌রানি রঙের পরাব পিরান তোর গায় রে।।
	আস্‌মানে যেতে চায় তারা হয়ে আমার নয়ন-তারা
(তোর)	খেলার সাথি কাঁদে শাপ্‌লার ফুল, ফিরে আয় পথ-হারা,
	দু’নয়ন ঘুমে ঢুলে, হৃদয় ঘুমায় না, কাছে পেতে চায় রে।।
	চোখের কাজল তোর চাঁদ-মুখে লেগেছে, (আয়) মুছাব আঁচলে
	দেখ্ মায়ের তোর স্নেহের সাগর আছে উথলে,
(মোর)	মনের ময়না! ঘরে মন রয় না, পথ চেয়ে’ রাত কেটে যায় রে।।

চলচ্চিত্র : ‘চৌরঙ্গী’

বাণী

[সংলাপঃ পুরুষ: ঘরে কে গো? (দরজায় টোকার শব্দ)
বলি ঘরে কে? (আবার টোকার শব্দ) শালাজ নাকি —
ও হো-হো-হো-হো ...]
পুরুষ	:	ঘরে কে গো? বলি ঘরে কে, শালাজ নাকি?
		এ যে মোর গোয়ালের গাই।
স্ত্রী	:	ও ছোট ঠাকুর ঝি, ওলো আয় আয়,
		দেখে যা এসেছে নন্দাই। এ যে মোর ননদের ভাই।
পুরুষ	:	দেখ, রাত্রি জেগে গুনব কত চালের কড়ি কাঠ
স্ত্রী	:	তাইতো, আগে হয়নি সারা আমার ঘর কন্নার পাট।
পুরুষ	:	তোমার কাজের মাথায় মারো লাঠি
স্ত্রী	:	আমি নিয়ে শীতল পাটি মাস-শাশুড়ির পা টিপিতে যাই।
পুরুষ	:	ওগো শুনছো! শোনো শোনো শোনো না — সত্যি সত্যি চললে,
		নতুনতর ঝুমকোর এক নমুনা এনেছি (আমি)।
স্ত্রী	:	অ্যা, তাই নাকি!
পুরুষ	:	হ্যা — গো — হ্যা।
স্ত্রী	:	কাল চাল ডাল বাছবো, চল এই আমি আসিতেছি
		ওগো এই আমি আসিতেছি
পুরুষ	:	না না, ও তোমায় পা টিপিতে বলেছিলেন কি ভাবিবেন মাসি
স্ত্রী	:	আমার গা করছে বমি বমি তাকে বলে আসি।
পুরুষ	:	এমন শ্যাকরার মত বিন্দে দূতি কলিকালের বৃন্দাবনে নাই॥
		বেঁচে থাক বাবা শ্যাকরার পো হুল্লোড় ঘটালে তবে ছাড়লে॥