ঘুমিয়ে গেছে শ্রান্ত হ’য়ে
বাণী
ঘুমিয়ে গেছে শ্রান্ত হ’য়ে আমার গানের বুলবুলি — করুণ চোখে চেয়ে আছে সাঁঝের ঝরা ফুলগুলি।। ফুল ফুটিয়ে ভোর বেলাতে গান গেয়ে নীরব হ’ল কোন নিষাদের বান খেয়ে; বনের কোলে বিলাপ করে সন্ধ্যা–রাণী চুল খুলি’।। কাল হ’তে আর ফুটবে না হায় লতার বুকে মঞ্জরী, উঠছে পাতায় পাতায় কাহার করুণ নিশাস্ মর্মরি’। গানের পাখি গেছে উড়ে, শূন্য নীড় — কণ্ঠে আমার নাই যে আগের কথার ভীড় আলেয়ার এ আলোতে আর আসবে না কেউ কূল ভুলি’।।
ঘুমায়েছে ফুল পথের ধূলায়
বাণী
ঘুমায়েছে ফুল পথের ধূলায় (ওগো) জাগিয়ো না উহারে ঘুমাইতে দাও। বনের পাখী ধীরে গাহ গান দখিনা হাওয়া ধীরে ধীরে বয়ে যাও।। এখনো শুকায়নি চোখে তারই জল এখনো আঁধারে হাসি ছলছল প্রভাত রবি শুকায়ো না তায় ধীরে কিরণে তাহারি নয়নে চাও।। সামলে পথিক ফেলিয়ো চরন ঝরেছে হেথায় ফুলেরও জীবন। ভুলিয়া দল না ঝরা পাতাগুলি ফুল সমাধি থাকিতে পারে হেথাও।।
ঘন-ঘোর-মেঘ-ঘেরা দুর্দিনে ঘনশ্যাম
বাণী
ঘন-ঘোর-মেঘ-ঘেরা দুর্দিনে ঘনশ্যাম ভূ-ভারত চাহিছে তোমায়। ধরিতে ধরার ভার নাশিতে এ হাহাকার আরবার এসো এ ধরায়।। নিখিল মানবজাতি কলহ ও দ্বন্দ্বে পীড়িত শ্রান্ত আজি কাঁদে নিরানন্দে, শঙ্খপদ্ম হাতে এ ঘোর তিমির-রাতে তিমির-বিদারী এসো অরুণ-প্রভায়।। বিদূরিত কর এই নিরাশা ও ভয়, মানুষে মানুষে হোক প্রেম অক্ষয়। কলিতে দলিতে এসো এই দুখ-পাপ-তাপ আন বর সুন্দর, শেষ হোক অভিশাপ, গদা ও চক্র করে অরিন্দম এসো, হত-মার দুর্বল মাগিছে সহায়।।
ঘরে কে গো বলি ঘরে কে
বাণী
[সংলাপঃ পুরুষ: ঘরে কে গো? (দরজায় টোকার শব্দ) বলি ঘরে কে? (আবার টোকার শব্দ) শালাজ নাকি — ও হো-হো-হো-হো ...] পুরুষ : ঘরে কে গো? বলি ঘরে কে, শালাজ নাকি? এ যে মোর গোয়ালের গাই। স্ত্রী : ও ছোট ঠাকুর ঝি, ওলো আয় আয়, দেখে যা এসেছে নন্দাই। এ যে মোর ননদের ভাই। পুরুষ : দেখ, রাত্রি জেগে গুনব কত চালের কড়ি কাঠ স্ত্রী : তাইতো, আগে হয়নি সারা আমার ঘর কন্নার পাট। পুরুষ : তোমার কাজের মাথায় মারো লাঠি স্ত্রী : আমি নিয়ে শীতল পাটি মাস-শাশুড়ির পা টিপিতে যাই। পুরুষ : ওগো শুনছো! শোনো শোনো শোনো না — সত্যি সত্যি চললে, নতুনতর ঝুমকোর এক নমুনা এনেছি (আমি)। স্ত্রী : অ্যা, তাই নাকি! পুরুষ : হ্যা — গো — হ্যা। স্ত্রী : কাল চাল ডাল বাছবো, চল এই আমি আসিতেছি ওগো এই আমি আসিতেছি পুরুষ : না না, ও তোমায় পা টিপিতে বলেছিলেন কি ভাবিবেন মাসি স্ত্রী : আমার গা করছে বমি বমি তাকে বলে আসি। পুরুষ : এমন শ্যাকরার মত বিন্দে দূতি কলিকালের বৃন্দাবনে নাই॥ বেঁচে থাক বাবা শ্যাকরার পো হুল্লোড় ঘটালে তবে ছাড়লে॥