বাণী

	যাও যাও তুমি ফিরে এই মুছিনু আঁখি
	কে বাঁধিবে তোমারে হায় গানের পাখি॥
মোর	আজ এত প্রেম আশা এত ভালোবাসা
	সকলি দুরাশা আজ কি দিয়া রাখি॥
	তোমার বেঁধেছিল নয়ন শুধু এ রূপের জালে
	তাই দুদিন কাঁদিয়া হায় এ বাঁধন ছাড়ালে।
	আমার বাঁধিয়াছে হিয়া আমি ছাড়াব কি দিয়া
	আমার হিয়া তো নয়ন নহে ও সে ছাড়ে না কাঁদিয়া,
	ওগো দুদিন কাঁদিয়া।
	এই অভিমান জ্বালা মোর একেলারি কালা
	ম্লান মিলনেরি মালা দাও ধূলাতে ঢাকি॥

বাণী

যত নাহি পাই দেবতা তোমায় , তত কাঁদি আর পূঁজি।
ত্ই লুকাও ধরা নাহি দাও, ততই তোমারে খুঁজি
কত সে রূপের রঙের মায়ায়, আড়াল করিয়া রাখ আপনায়
তবু তব পানে অশান্ত মন কেন ধায় নাহি বুঝি।।
কাঁদালে যদি গো এমন করিয়া কেন প্রেম দিলে তবে
অন্তবিহীন এ লুকোচুরির শেষ হবে নাথ কবে?
সহে না হে নাথ বৃথা আসা যাওয়া-
জনমে জনমে এই পথ চাওয়া
কাঁদিয়া কাঁদিয়া ফুরায়ে গেল চোখের জলের পুঁজি।।

বাণী

যাস্‌নে মা ফিরে, যাস্‌নে জননী ধরি দুটি রাঙা পায়।
শরণাগত দীন সন্তানে ফেলি’ ধরার ধূলায় (মা) ধরি রাঙা পায়।।
(মোরা) অমর নহি মা দেবতাও নহি
	শত দুখ সহি’ ধরণীতে রহি’,
মোরা অসহায়, তাই অধিকারী মাগো তোর করুণায়।।
দিব্যশক্তি দিলি দেবতারে মৃত্যু-বিহীন প্রাণ,
তবু কেন মাগো তাহাদেরি তরে তোর এত বেশি টান?
(আজো) মরেনি অসুর মরেনি দানব
	ধরণীর বুকে নাচে তান্ডব,
সংহার নাহি করি’ সে অসুরে চলে যাস্ বিজয়ায়।।

নাটিকা: ‘বিজয়া’

বাণী

যদি	শালের বন হ’ত শালার বোন,
	ক’নে বউ হ’ত ঐ গৃহেরই কোণ,
ছেড়ে	যেতাম না গো শালার বোন,
আমি	থাকতাম পড়ে সদা, খেতাম না গো, শালার বোনথ —
	বনে হারিয়ে যেতাম,
	শালার বোন ঐ বৃন্দাবনে না হয় চারিয়ে যেতাম —
	দাদা গো, ওগো দাদা —
আর	মাকুন্দ হত যদি কুন্দবালা,
হ’ত	দাড়িম্ব সুন্দরী দাড়িওয়ালা,
আমি	ঝুলে যে পড়তাম দাড়ি ধ’রে তার —
	জয়নাথ তরকনাথ বলে আমি ঝুলে যে পড়তাম দাড়ি ধ’রে,
বাবা	দুগ্‌গা ব’লে আমি ঝুলে যে পড়তাম দাড়ি ধ’রে তার —
	দাদা গো, ওগো দাদা —
আহা	বাচ্চা হইত যদি চৌবাচ্চায়
নিতি	পানকৌড়ি হ’য়ে ডুবে থাকিতাম তায়,
যদি	দামড়ার ল্যাজ হ’ত কুন্তল দাম
	বেণী রূপে ল্যাজ ধ’রে মাঠে দাঁড়াতাম — ঘুরে যে বেড়াতাম, তার
	আমি ল্যাজ ধ’রে ঘুরে যে বেড়াতাম, দাদা গো —
যদি	ভাগ্যগুণে এক মিলিল শালী —
বাবা	বিশাল বপু তার সে যে বিশালী,
ওযে	শালী নয় শালী নয়, শাল্মলী তরু সম
	সে যে বিশালী গো, শাল্মলী তরু সম সে যে বিশালী গো —
আহা	চিম্‌টি শালীর হ’ত বাবলা কাঁটা,
হ’ত	শর-বন তার খ্যাংড়া ঝ্যাঁটা
	খ্যাংড়া মেরে বিষ ঝেড়ে যে দিত গো —

বাণী

যমুনা-সিনানে চলে তন্বী মরাল-গামিনী।
লুটায়ে লুটায়ে পড়ে পায়ে বকুল কামিনী।।
	মধু বায়ে অঞ্চল
	দোলে অতি চঞ্চল,
কালো কেশে আলো মেখে খেলিছে মেঘ দামিনী।।
	তাহারি পরশ চাহি’
	তটিনী চলেছে বাহি,’
তনুর তীর্থে তারি আসে দিবা ও যামিনী।।

বাণী

যাবি কে মদিনায় আয় ত্বরা করি'।
তোর খেয়া ঘাটে এলো পুণ্য তরী।।
আবুবকর, উমর খাত্তাব, উসমান, আলী হায়দর
দাঁড়ি এ সোনার তরণীর, পাপী সব নাই নাই আর ডর।
এ তরীর কাণ্ডারি আহমদ, পাকা সব মাঝি ও মাল্লা,
মাঝিদের মুখে সারিগান শোন ঐ 'লা শরীক আল্লাহ'।
পাপ-দরিয়ার তুফানে আর নাহি ডরি।।
ঈমানের পারানি কড়ি আছে যার আয় এ সোনার নায় —
ধরিয়া দ্বীনের রশি কলেমার জাহাজ-ঘাটায়।
ফিরদাউস হ’তে ডাকে হুরী-পরী।।