যাও হেলে দুলে এলোচুলে কে গো বিদেশিনী
বাণী
পুরুষ : যাও হেলে দুলে এলোচুলে কে গো বিদেশিনী কাহার আশে কাহার অনুরাগিনী। স্ত্রী : আমি কনক চাঁপার দেশের মেয়ে এনু ঊষার রঙের গান গেয়ে আমি মল্লিকা গো পল্লীবাসিনী। পুরুষ : চিনি চিনি ওই চুড়ি কাঁকনের রিনিকি রিনি তুমি ভোর বেলা দাও স্বপনে দেখা। স্ত্রী : তোমার রঙে কবি আঁক আমারি ছবি তুমি দেবতা রবি আমি তব পূজারিণী। পুরুষ : এসো ধরণীর দুলালী আলোর দেশে যথা তারার সাথে চাঁদ গোপনে মেশে স্ত্রী : আনো আলোক তরী আমি যাই গো ভেসে দ্বৈত : চলো যাই ধরণী ধূলির ঊর্ধে পুরুষ : যথা বয় অনন্ত স্ত্রী : প্রেম মন্দারিণী পুরুষ : যথা বয় অনন্ত দ্বৈত : প্রেম মন্দারিণী॥
যবে তুলসীতলায় প্রিয় সন্ধ্যাবেলায়
বাণী
যবে তুলসীতলায় প্রিয় সন্ধ্যাবেলায় তুমি করিবে প্রণাম, তব দেবতার নাম নিতে ভুলিয়া বারেক প্রিয় নিও মোর নাম।। একদা এমনি এক গোধূলি বেলা যেতেছিলে মন্দির-পথে একেলা, জানি না কাহার ভুল তোমার পূজার ফুল আমি লইলাম — সেই দেউলের পথ সেই ফুলেরই শপথ প্রিয়, তুমি ভুলিলে হায় আমি ভুলিলাম।। পথের দুঁধারে সেই কুসুম ফোটে — হায় এরা ভোলেনি, বেঁধেছিলে তরু শাখে লতার যে ডোর হের আজো খোলেনি। একদা যে নীল নভে উঠেছিল চাঁদ ছিল অসীম আকাশ ভরা অনন্ত সাধ, আজি অশ্রু-বাদল সেথা ঝরে অবিরাম।।
যে আল্লার কথা শোনে
বাণী
যে আল্লার কথা শোনে তারি কথা শোনে লোকে। আল্লার নূর যে দেখেছে পথ পায় লোক তার আলোকে।। যে আপনার হাত দেয় আল্লায় জুল্ফিকারের তেজ সে পায়, যার চোখে আছে খোদার জ্যোতি রাত্রি পোহায় তারি চোখে।। ভোগের তৃষ্ণা মিটেছে যার খোদার প্রেমের শিরনি পেয়ে, যায় বাদ্শা-নবাব গোলাম হ'য়ে সেই ফকিরের কাছে যেয়ে। আসে সেই কওমের ইমাম সেজে কওমকে পেয়েছে যে, তারি কাছে খোদার দেওয়া শান্তি আছে দুখে-শোকে।।
যে অবহেলা দিয়ে মোরে
বাণী
যে অবহেলা দিয়ে মোরে করিল পাষাণ। সখি কেন কেঁদে ওঠে তারি তরে মোর প্রাণ।। যে ফুল ফুটায়ে তার মধু নিল না মোরে ধরার ধূলিতে এনে ধরা দিল না, কেন তার তরে বুকে এত জাগে অভিমান।। মোর প্রেম-অঞ্জলি সে যত যায় দলি’ তারে তত জড়াতে চাই, শ্যাম-সুন্দর বলি’, চাঁদ সে যে আকাশের সে ধরা দেয় না তবু চকোরীর ভুল হয় নাকো অবসান।।