পিও পিও হে প্রিয় শরাব পিও
বাণী
পিও পিও হে প্রিয় শরাব পিও চোখে রঙের নেশা লেগে সব অবসাদ হোক রমনীয়।। জীবনের নহবতে বাজুক সানাই আঁধার এ দুনিয়ায় জ্বলুক রোশনাই আজি আবছা আলোয় যারে লাগবে ভালো তারি গলায় চাঁদের মালা পরায়ে দিও।। আজি লেগে অনুরাগে রঙ শিরাজির প্রাণে প্রাণে লহর বহুক রস-নদীর সেই মধুর ক্ষনে বঁধু নিরজনে ভালোবাসি' দুটি কথা মোরে বলিও।।
পুঁথির বিধান যাক পুড়ে
বাণী
পুঁথির বিধান যাক পুড়ে তোর, বিধির বিধান সত্য হোক! (এই) খোদার উপর খোদকারী তোর মানবে না আর সর্বলোক।। নানান মুনির নানান মত্ যে, মানবি বল্ সে কার শাসন? কয়জনার বা রাখবি মন? একজনকে মানলে করবে আর এক সমাজ নির্বাসন, চারদিকে শৃঙ্খল বাঁধন! সকল পথে লক্ষ্য যিনি চোখ পুরে নে তাঁর আলোক।। জাতের চেয়ে মানুষ সত্য, অধিক সত্য প্রাণের টান প্রাণ-ঘরে সব এক সমান। বিশ্ব-পিতার সিংহ-আসল প্রাণ বেদীতেই অধিষ্ঠান, আত্মার আসন তাইত প্রাণ। জাত-সমাজের নাই সেথা ঠাই জগন্নাথের সাম্য লোক জগন্নাথের তীর্থ লোক।। চিনেছিলেন খ্রিষ্ট, বুদ্ধ, কৃষ্ণ, মোহাম্মদ ও রাম মানুষ কী আর কী তার দাম! (তাই) মানুষ যাদের করত ঘৃণা, তাদের বুকে দিলেন স্থান, গান্ধী আবার গান সে-গান। (তোরা) মানব-শত্রু, তোদেরই হায় ফুটল না সেই জ্ঞানের চোখ।।
প্রিয়তম এত প্রেম দিও না গো সহিতে পারি না আর
বাণী
প্রিয়তম, এত প্রেম দিও না গো সহিতে পারি না আর তটিনীর বুকে ঝাঁপায়ে পড়িলে কেন মহা- পারাবার।। তোমার প্রেমের বন্যায় বঁধু, হায়! দুই কুল মোর ভাঙিয়া ভাসিয়া যায়; আমি নিজেরে হারাতে চাহিনি, বন্ধু; দিতে চেয়েছিনু হার।। তুমি চাহ বুঝি তুমি ছাড়া আর রহিবে না মোর কেউ, তাই কি পরানে তুফান তোলে গো এত রোদনের ঢেউ। দেহ ও মনের সীমা ছাড়াইয়া মোরে কোথায় নিয়ে যেতে চাও মোর হাত ধরে বলো কোন মধু বনে শেষ হবে বঁধু আমাদের অভিসার।।