বাণী

প্রিয়তম হে, আমি যে তোমারি চির-আরাধিকা।
তব নাম গেয়ে প্রেম-বৃন্দাবনে ফিরি ব্রজ-বালিকা।।
	মম নয়ন দুটি তব দেবালয়ে
	জ্বলে নিশিদিন আরতি-প্রদীপ হয়ে
নাম-কলঙ্ক তব হরি-চন্দন মোর গলার মালিকা।।
মোরে শরণ দাও তব চরণে কর অবনমিতা,
জনমে জনমে হয়ো প্রভু তুমি, আমি হব দয়িতা।
	শুধু নাম শুনি, নাথ মনে মনে
	আমি স্বয়ম্বরা হয়েছি গোপনে,
বড় সাধ প্রাণে র’ব তোমারি ধ্যানে হব শ্যাম-সাধিকা।।

বাণী

	পরো সখি মধুর বধূ-বেশ
	বাঁধো আকুল চাঁচর কেশ।।
বাঁকা ভুরুর মাঝে পর খয়েরি টিপ বকুল-বেলার হার,
ছাড় মলিন বাস শাড়ি চাঁপা রং পর পর আবার।
অধর রাঙাও সলাজ হাসিতে মোছ নয়ন-ধার —
বিদেশী বন্ধু তোমারে স্মরিয়া ফিরে এলো নিজ দেশ।।
মিলন-দিনে আর সাজে না মুখ-ভার ভোলো ভোলো অভিমান,
মধুরে ডাক কাছে তায়, জুড়াও তাপিত প্রাণ।
অরুণ-রাঙা হোক অনুরাগের রঙে করুণ সজল নয়ান —
মরম বীণায় উঠুক বাজিয়া মিলন-মধুর রেশ।।

বাণী

পলাশ ফুলের মউ পিয়ে ঐ বউ-কথা-কও উঠ্ল ডেকে।
শিশ্ দিয়ে যায় উদাস হাওয়া নেবু-ফুলের আতর মেখে।।
	এমন পূর্ণ চাঁদের রাতি
	নেই গো আমার জাগার সাথী,
ফুল-হারা মোর কুঞ্জ-বীথি — কাঁটার স্মৃতি গেছে রেখে।।
	শূন্য মনে এক্‌লা গুণি
	কান্না-হাসির পান্না-চুণী,
বিদায়-বেলার বাঁশি শুনি — আস্‌ছে ভেসে ওপার থেকে।।

১. শঙ্করা মিশ্র — দাদ্‌রা, ২. সাথে।

বাণী

পুষ্পধনুর ইঙ্গিতে হায় হারানো হিয়ার বনে,
মন দেয়া-নেয়া খেলা চলে নিরজনে।
মায়া-মৃগ যেন রচিত ছলনার কায়া,
বাঁধা পড়িল নিজে? একি রে প্রেমের মায়া।।
দু’জনে রচিত মিলন-স্বর্গ ধূলিতলে রমণীয়,
দু’জনের কাছে বন্দী দু’জনে প্রিয়তমা আর প্রিয়।
আঁখির মিলনে সারা দিন-যামী ক্লান্ত না হয় আঁখি,
আঁখির কুলায় চলে গো আঁখির পাখি।
দু’জনে কুজনে একটি গানের কলি,
অনাহত সুরে বারে বারে যায় বলি’।।

মিশ্র সুর

বাণী

পিয়াল ফুলের পিয়ালায় বঁধু অন্তর-মধু ঢেলে পিয়াব তোমায়।
রচিব হৃদয়ে মাধবী-কুঞ্জ বাহিরে ফাগুন যদি যেতে চায়।।
		বেল-ফুল যায় যদি ঝুরে
		প্রেম-ফুল দিব ডালি ভ’রে,
নিশি জেগে আমি গান শোনাব বনের বিহগ যদি মাগে বিদায়।।
		আর যদি নাহি বহে দখিনা বাতাস
	(বঁধু)	অঞ্চল আছে মোর, আছে কেশ-পাশ,
যায় যদি যাক্ ডুবে চৈতালী চাঁদ আমার চাঁদ যেন চ’লে নাহি যায়।

বাণী

	পাঠাও বেহেশ্‌ত হ’তে হজরত্ পুন সাম্যের বাণী,
(আর)	দেখিতে পারি না মানুষে মানুষে এই হীন হানাহানি।।
		বলিয়া পাঠাও, হে হজরত
		যাহারা তোমার প্রিয় উম্মত,
	সকল মানুষে বাসে তা’রা ভালো খোদার সৃষ্টি জানি’ —
			সবারে খোদারই সৃষ্টি জানি।।
	আধেক পৃথিবী আনিল ঈমান (তোমার) যে উদারতা-গুণে,
	শিখিনি আমরা সে-উদারতা, (কোরানে হাদিসে) কেবলি গেলাম শুনে’।
		তোমার আদেশ অমান্য ক’রে
		লাঞ্ছিত মোরা ত্রিভুবন ভ’রে,
	আতুর মানুষে হেলা ক’রে বলি, ‘আমরা খোদারে মানি’।।