পুবান হাওয়া পশ্চিমে যাও কাবার পথে বইয়া
বাণী
পুবান হাওয়া পশ্চিমে যাও কাবার পথে বইয়া যাও রে বইয়া এই গরিবের সালামখানি লইয়া।। কাবার জিয়ারতের আমার নাই সম্বল ভাই সারা জনম সাধ ছিল যে মদিনাতে যাই (রে ভাই) মিটল না সাধ, দিন গেল মোর দুনিয়ার বোঝা বইয়া।। (তোমার) পানির সাথে লইয়া যাও রে আমার চোখের পানি লইয়া যাও রে এই নিরাশের, দীর্ঘ নিশাসখানি। নবীজীর রওজায় কাঁদিও ভাই রে আমার হইয়া।। মা ফাতেমা হজরত আলীর মাজার যথায় আছে আমার সালাম দিয়া আইস তাদের পায়ের কাছে (রে ভাই!) কাবায় মোনাজাত করিও আমার কথা কইয়া।।
পরমাত্মা নহ তুমি মোর
বাণী
পরমাত্মা নহ তুমি মোর (তুমি) পরমাত্মীয় মোর। হে বিপুল বিরাট! মোর কাছে তুমি, প্রিয়তম চিতচোর॥ তোমারে যে ভয় করে হে বিশ্বত্রাতা তার কাছে তুমি রুদ্র দন্ডদাতা, প্রেমময় বলে তোমারে যে বাসে ভালো তার কাছে তুমি মধুর লীলা কিশোর॥ দ্যাখে ভীরু চোখ আষাঢ়ের মেঘে বজ্র তব বিপুল, মোর মালঞ্চে সেই মেঘে হেরি, ফোটায় নবমুকুল। আকাশের নীল অসীম পদ্ম পরে চরণ রেখেছ, হে মহান লীলা ভরে সেই অনন্ত জানি না কেমন ক’রে আমার হৃদয়ে খেল দিবানিশি ভোর॥
প্রিয়তম এত প্রেম দিও না গো সহিতে পারি না আর
বাণী
প্রিয়তম, এত প্রেম দিও না গো সহিতে পারি না আর তটিনীর বুকে ঝাঁপায়ে পড়িলে কেন মহা- পারাবার।। তোমার প্রেমের বন্যায় বঁধু, হায়! দুই কুল মোর ভাঙিয়া ভাসিয়া যায়; আমি নিজেরে হারাতে চাহিনি, বন্ধু; দিতে চেয়েছিনু হার।। তুমি চাহ বুঝি তুমি ছাড়া আর রহিবে না মোর কেউ, তাই কি পরানে তুফান তোলে গো এত রোদনের ঢেউ। দেহ ও মনের সীমা ছাড়াইয়া মোরে কোথায় নিয়ে যেতে চাও মোর হাত ধরে বলো কোন মধু বনে শেষ হবে বঁধু আমাদের অভিসার।।