প্রভু তোমাতে যে করে প্রাণ নিবেদন
বাণী
প্রভু তোমাতে যে করে প্রাণ নিবেদন ভয় নাহি আর তার শত সে বিপদে আপদে তাহার হাত ধরে কর পার॥ তার দুঃখে শোকে ভাবনায় ভয়ে তব নাম রাজে সান্ত্বনা হয়ে পার হয়ে যায় তব নাম লয়ে দুস্তর পারাবার॥ ঝড় ঝঞ্ঝায় প্রাণ শিখা তার শান্ত অচঞ্চল টলমল করে রূপে রসে তার জীবনের শতদল। যেমন পরম র্ভিরতায় শিশু তার মার বক্ষে ঘুমায় তোমারে যে পায় সে জন তেমনি ডরে নাহি সংসার॥
পরাজিত হ’ল অপরাজিতার কাছে
বাণী
পরাজিত হ’ল অপরাজিতার কাছে গোলাপের রূপ হায়। পথের ধূলিতে ঢেকে দে গোলাপ-বন, আয় ঝোড়ো হাওয়া আয়।। বসিল না মোর ময়ূর-সিংহাসনে বনের সে প্রজাপতি, কোহিনূর ফেলে দেখিল পথের ফুলে সে-কোন্ প্রেমের জ্যোতি। হে প্রেম-ভিখারি! তোমার ধূলির পথে ডাক দিলে যদি চির-ভিখারিনী হ’তে, মরণের ক্ষণে দুটি ফোঁটা আঁখি-জল সে যেন ভিক্ষা পায়।।
পাপে তাপে মগ্ন আমি জানি
বাণী
পাপে তাপে মগ্ন আমি জানি জানি তবু। পাপের চেয়ে তোমার ক্ষমা অনেক অধিক প্রভু।। শিশু যেমন সারা বেলায় ধূলা মাখে খেলার শেষে সন্ধ্যাবেলায় মাকে ডাকে, (ওগো) ধূলায় মলিন সে ছেলেরে মা কি ত্যাজে কভু।। তোমার ক্ষমা যে দেখেছে হে মোর প্রেমময়, অশেষ পাপে পাপী হলেও করে না সে ভয়। মুছবে তুমি তুমিই যদি মাখাও ধূলি কাঁদাও যদি তুমি নেবে কোলে তুলি, আমি তাই করি যা করাও তুমি হে লীলাময় প্রভু।।
প্রেমের হাওয়া বইল যখন
বাণী
প্রেমের হাওয়া বইল যখন মুকুল গেল ঝ’রে। প্রদীপ নিভে রইল, যখন তুমি এলে ঘরে।। তোমার আসার লগ্ন এলো যে-দিন আশা ফুরিয়ে গেল, মন গিয়াছে ম’রে যখন পেলাম মনোহরে।। আঘাত দিয়ে দিয়ে যে-দিন করলে পাষাণ মোরে, সেদিন নিয়ে বসালে হায়! তোমার ঠাকুর ঘরে। তোমার শুভ দৃষ্টি লাগি’ বহু সে-যুগ ছিলাম জাগি’ আজি কি বেলা-শেষে তুমি এলে স্বয়ম্বরে।।