মাগো চিন্ময়ী রূপ ধরে আয়
বাণী
মাগো চিন্ময়ী রূপ ধ’রে আয়। মৃন্ময়ী রূপ তোর পূজি শ্রী দুর্গা তাই দুর্গতি কাটিল না হায়।। যে মহা-শক্তির হয় না বিসর্জন অন্তরে বাহিরে প্রকাশ যার অনুখন মন্দিরে দুর্গে রহে না যে বন্দী সেই দুর্গারে দেশ চায়।। আমাদের দ্বিভুজে দশভুজা-শক্তি দে পরম ব্রহ্মময়ী। শক্তিপূজার ফল ভক্তি কি পাব শুধু হব না কি বিশ্বজয়ী? এই পূজা-বিলাস সংহার কর্ যদি, পুত্র শক্তি নাহি পায়।।
মায়ের আমার রূপ দেখে যা
বাণী
মায়ের আমার রূপ দেখে যা মা যে আমার কেবল জ্যোতি। (মার) কৌশিকি রূপ দেখ্ রে চেয়ে, মা, শুদ্ধা মহা স্বরস্বতী।। পরম শুভ্র জ্যোতির্ধারায় নিখিল বিশ্ব যায় ডুবে যায়। কোটি শ্বেতশতদলে বিরাজে মা বেদবতী।। সপ্তসর্গ সপ্ত পাতাল শুদ্ধ হয়ে উঠল নেয়ে সাত্ত্বিকি মোর জগন্মাতার জ্যোতির্সুধার প্রসাদ পেয়ে। নৃত্যময়ী শব্দময়ী কালী এলো শান্ত কল্যাণ-দীপ জ্বালি’ দেখ রে পরমাত্মায় সব জননী সে জ্যোতিষ্মতী।।
মোরা বিহান-বেলা উঠে রে ভাই চাষ করি এই মাটি
বাণী
মোরা বিহান-বেলা উঠে রে ভাই চাষ করি এই মাটি। যে মাটির বুকে আছে পাকা ধানের সোনার কাঠি॥ ফসল বুনে রোদের তাতে উঠি যখন ঘেমে সদয় হয়ে আকাশ বেয়ে বৃষ্টি আসে নেমে (ওরে) মুচকি হেসে বৌ এনে দেয় পান্তা ভাতের বাটি॥ আশ মেটে না চারা ধানের পানে চেয়ে চেয়ে মরাই ভ’রে থাকবে ওরাই আমার ছেলে মেয়ে। (আমি) চাই না স্বর্গ, পাই যদি এই পাকা ধানের আটি (রে ভাই)॥ জল নিতে যায় আড়চোখে চায় বৌ-ঝি নদীর কূলে খুশিতে বুক ভ’রে ওঠে, খাটুনি যাই ভুলে। এ মাঠ নয় ভাই বৌ পেতেছে ঠান্ডা শীতল পাটি॥
মোরা ছিনু একেলা হইনু দু’জন
বাণী
মোরা ছিনু একেলা, হইনু দু’জন। সুন্দরতর হ’ল নিখিল ভুবন।। আজি কপোত-কপোতী শ্রবণে কুহরে, বীণা বেণু বাজে বন-মর্মরে। নির্ঝর-ধারে সুধা চোখে মুখে ঝরে, নূতন জগৎ মোরা করেছি সৃজন।। মরিতে চাহি না, পেয়ে জীবন-অমিয়া! আসিব এ কুটিরে আবার জনমিয়া। আরো চাই আরো চাই অশেষ জীবন।। আজি প্রদীপ-বন্দিনী আলোক-কন্যা, লক্ষ্মীর শ্রী লয়ে আসিল অরণ্যা, মঙ্গল-ঘটে এলো নদীজল-বন্যা, পার্বতী পরিয়াছে গৌরী-ভূষণ।।