মন দিয়ে যে দেখি তোমায় তাই দেখিনে
বাণী
মন দিয়ে যে দেখি তোমায় তাই দেখিনে নয়ন দিয়ে। পরান আছে বিভোর হয়ে তোমার নামের ধেয়ান নিয়ে॥ হৃদয় জুড়ে আছ ব’লে, এড়িয়ে চলি নানান ছলে। আছ আমার অন্তরে, তাই অন্তরালে রই লুকিয়ে॥ আমার কথা শুনাই না গো তোমার কথা শোনার আশায়, ভরে আছে অন্তর মোর বন্ধু তোমার ভালোবাসায়। তোমায় ভালো বাসতে পেরে পেয়েছি মোর আনন্দেরে অমর হলাম হে প্রিয় মোর তোমার প্রেমের সুধা পিয়ে॥
মহাকালের কোলে এসে
বাণী
মহাকালের কোলে এসে গৌরী হ’ল মহাকালী, শ্মশান–চিতার ভস্ম মেখে ম্লান হ’ল মার রূপের ডালি।। তবু মায়ের রূপ কি হারায় সে যেছড়িয়ে আছে চন্দ্র তারায়, মায়ের রূপের আরতি হয় নিত্য সূর্য–প্রদীপ জ্বালি’ ।। উমা হ’ল ভৈরবী হায় বরণ ক’রে ভৈরবেরে, হেরি’ শিবের শিরে জাহ্নবী রে শ্মশানে মশানে ফেরে। অন্ন দিয়ে ত্রি–জগতে অন্নদা মোর বেড়ায় পথে, ভিক্ষু শিবের অনুরাগে ভিক্ষা মাগে রাজদুলালী।।
মোর প্রথম মনের মুকুল
বাণী
মোর প্রথম মনের মুকুল ঝরে গেল হায় মনে মিলনের ক্ষণে। কপোতীর মিনতি কপোত শুনিল না, উড়ে গেল গহন-বনে।। দক্ষিণ সমীরণ কুসুম ফোটায় গো আমারি কাননে ফুল কেন ঝরে যায় গো জ্বলিল প্রদীপ সকলেরি ঘরে হায় নিভে গেল মোর দীপ গোধূলি লগনে।। বিফল অভিমানে কাঁদে ফুলমালা কণ্ঠ জড়ায়ে কাঁদি ধূলি-পথে একা ছিন্ন-লতার প্রায় লুটায়ে লুটায়ে। দারুণ তিয়াসে এসে সাগর-মুখে ঢলিয়া পড়িনু হায় বালুকারি বুকে ধোঁয়ারে মেঘ ভাবি’ ভুলিনু চাতকী জ্বলিয়া মরি গো বিরহ-দহনে।।
মালা যদি মোর ধূলায় মলিন হয়
বাণী
মালা যদি মোর ধূলায় মলিন হয় ব'সে আছি তাই অঞ্চলে নিয়ে কুসুমেরি সঞ্চয়।। ফুলহার যদি কর অবহেলা তাই ভাবি আর ব'য়ে যায় বেলা হৃদয়ে থাকুক লুকানো আমার হৃদয়ের পরিচয়।। বিফল যদি গো হয় পূজা নিবেদন মন্দির-দ্বারে দাঁড়াইয়া তাই পাষাণেরই নারায়ণ।। কেন কাছে আসি, এসে ফিরে যাই যদি ফেল জেনে ভয় মানি তাই সকলি সহিব, সহিতে নারিব হৃদয়ের পরাজয়।।
মরু সাহারা আজি মাতায়োরা
বাণী
মরু সাহারা আজি মাতায়োরা — হলেন নাজেল তাহার দেশে খোদার রসুল। যাঁহার নামে যাঁহার ধ্যানে সারা দুনিয়া দীওয়ানা, প্রেমে মশগুল।। যাঁহার আসার আশাতে অনুরাগে নীরস খর্জুর তরুতে রস জাগে, তপ্ত মরু’পরে খোদার রহম্ ঝরে, হাসে আকাশ পরিয়া চাঁদের দুল।। ছিল এ ত্রিভুবন যাঁহার পথ চাহি’ এলে রে সেই নবী ‘ইয়া উম্মতি’ গাহি’, যতেক গুম্রাহে নিতে খোদার রাহে এলো ফুটাতে দুনিয়াতে ইসলামি ফুল।।