বাণী

মরু সাহারা আজি মাতায়োরা — হলেন নাজেল তাহার দেশে খোদার রসুল।
যাঁহার নামে যাঁহার ধ্যানে সারা দুনিয়া দীওয়ানা, প্রেমে মশগুল।।
		যাঁহার আসার আশাতে অনুরাগে
		নীরস খর্জুর তরুতে রস জাগে,
তপ্ত মরু’পরে খোদার রহম্‌ ঝরে, হাসে আকাশ পরিয়া চাঁদের দুল।।
		ছিল এ ত্রিভুবন যাঁহার পথ চাহি’
		এলে রে সেই নবী ‘ইয়া উম্মতি’ গাহি’,
যতেক গুম্‌রাহে নিতে খোদার রাহে এলো ফুটাতে দুনিয়াতে ইসলামি ফুল।।

বাণী

মাগো তোরি পায়ের নূপুর বাজে
এই বিশ্বের সকল ধ্বনির মাঝে।।
জীবের ভাষায় পাখির মধুর গানে,
সাগর রোলে নদীর কলতানে
সমীরণের মরমরে শুনি সকাল সাঁঝে।।
আমার প্রতি নিঃশ্বাসে মা রক্তধরার মাঝে
প্রাণের অনুরণনে তোর চরণধ্বনি বাজে।
গভীর প্রণব ওঙ্কারে তোর কালি (মা গো মহাকালী)
সেই নৃত্যলীলার স্তবগাথা গান চরণতলে নটরাজে।।

বাণী

মন দিয়ে যে দেখি তোমায় তাই দেখিনে নয়ন দিয়ে।
পরান আছে বিভোর হয়ে তোমার নামের ধেয়ান নিয়ে॥
	হৃদয় জুড়ে আছ ব’লে,
	এড়িয়ে চলি নানান ছলে।
আছ আমার অন্তরে, তাই অন্তরালে রই লুকিয়ে॥
আমার কথা শুনাই না গো তোমার কথা শোনার আশায়,
ভরে আছে অন্তর মোর বন্ধু তোমার ভালোবাসায়।
	তোমায় ভালো বাসতে পেরে
	পেয়েছি মোর আনন্দেরে
অমর হলাম হে প্রিয় মোর তোমার প্রেমের সুধা পিয়ে॥

বাণী

মোরা	কুসুম হয়ে কাঁদি কুঞ্জবনে
		সুন্দর শ্যাম হে
আমি	মরিতে চাহি ঝরি' তব চরণে
		সুন্দর শ্যাম হে।
	ওগো সুন্দর শ্যাম হে।।
মোর	ক্ষণিক এ জীবন নিশি শেষে
প্রিয়	ঝ'রে যাব গো স্রোতে ভেসে
বঁধু	কাছে এসে ছুয়ো ভালবেসে
	জাগায়ো প্রেম-মধু গোপন মনে
		সুন্দর শ্যাম হে।।
তব	সরস পরশ দিয়ে মনোহর
মোর	এ তনু রঙে রসে পূর্ণ করো
আমি	তোমার বুকে রবো পরম সুখে
	ঝরিব প্রিয়, চাহি' তব নয়নে
		সুন্দর শ্যাম হে।।
মোর	বিদায় বেলা ঘনায়ে আসে
মোর	প্রাণ কাদেঁ মিলন-পিয়াসে
এই	বিরহ মম ওগো প্রিয়তম,
	মিটিবে সে কোন শুভ লগনে,
		সুন্দর শ্যাম হে।।

বাণী

মোহাম্মদ নাম যত জপি, তত মধুর লাগে।
নামে এত মধু থাকে, কে জানিত আগে।।
ঐ নামেরি মধু চাহি' মন-ভ্রমরা বেড়ায় গাহি',
আমার ক্ষুধা তৃষ্ণা নাহি ঐ নামের অনুরাগে।।
ও নাম প্রাণের প্রিয়তম, ও নাম জপি মজনু সম,
ঐ নামে পাপিয়া গাহে প্রাণের কুসুম-বাগে।।
ঐ নামে মুসাফির রাহী চাই না তখত শাহানশাহী,
নিত্য ও নাম ইয়া ইলাহী, যেন হৃদে জাগে।।

বাণী

মধুকর মঞ্জির বাজে বাজে
		গুন্‌ গুন্‌ মঞ্জুল গুঞ্জরণে।
মৃদুল দোদুল নৃত্যে
		বন শবরী মাতে কুঞ্জবনে।।
বাজাইছে সমীর দখিনা
পল্লবে মর্মর বীণা,
বনভুমি ধ্যান–আসীনা
		সাজিল রাঙা কিশলয়–বসনে।।
ধূলি ধূসর প্রান্তর পরেছিল গৈরিক সন্ন্যাস–সাজ
নব–দূর্বাদল শ্যাম হলো আনন্দে আজ।
লতিকা–বিতানে ওঠে ডাকি’
মুহু মুহু ঘুমহারা পাখি
নব নীল অঞ্জন মাখি’
		উদাসী আকাশ হাসে চাঁদের সনে।।