বাণী

মাতৃ নামের হোমের শিখা আমার বুকে কে জ্বালালো
সেই শিখা আজ হরবে যেন মা ত্রিজগতের আঁধার কালো।।
	আজ মনে হয় দিবস যামী
	অমৃতেরই পুত্র আমি মা
আনন্দময় হল ত্রিলোক যেদিকে চাই কেবল আলো।।
সূর্য যেমন জানে না, তার আলোয় কত জগৎ জাগে,
বিকার-বিহীন তেমনি আমি, জ্বলি নামের অনুরাগে।
	হয়তো আমার আলো লেগে
	নতুন সৃষ্টি উঠবে জেগে,
তাই কি বিপুল আকর্ষণে সবারে চাই বাস্‌তে ভালো।।

বাণী

মোহররমের চাঁদ এলো ঐ কাঁদাতে ফের দুনিয়ায়।
ওয়া হোসেনা ওয়া হোসেনা তারি মাতম শোনা যায়।।
কাঁদিয়া জয়নাল আবেদীন বেহোশ হল কারবালায়
বেহেশ্‌তে লুটিয়ে কাঁদে আলী ও মা ফাতেমায়।।
কাশেমের ঐ লাশ লয়ে কাঁদে বিবি সাকিনা।
আস্‌গরের ঐ কচি বুকে তীর দেখে কাঁদে খোদায়।।
কাঁদে বিশ্বের মুসলিম আজি গাহে তারি মর্সিয়া।
ঝরে হাজার বছর ধরে অশ্রু তারি শোকে হায়।।

বাণী

মরণ ডাকে — ‘আয় রে চ’লে!’ জীবন বলে — ‘যাই গো যাই।’
জীবনে হায় পায়নি ব’লে (আমার) মরণে তাই চাই গো চাই।।
	জীবন শুধু কাঁটায় ভরা
	তাই বুঝি সে দেয়নি ধরা,
ফুল-বিছানো কবরে তার মধুর পরশ পাই গো পাই।
মরণ-বঁধূর ডাক শুনে আর জীবনে সাধ নাই গো নাই।।

নাটকঃ ‘কাফন চোরা’

বাণী

	মায়ের চেয়েও শান্তিময়ী মিষ্টি বেশি মেয়ের চেয়ে
	চঞ্চলা এই লীলাময়ী মুক্তকেশী কালো মেয়ে।।
সে	মিষ্টি যত দুষ্টু তত এই কালো মেয়ে
	গিরিঝর্ণা সম এলো ধেয়ে এই পাবর্তী মেয়ে
	করুণা অমৃত ধারায় ভুবন ছেয়ে এলো এই কালো মেয়ে।।
	মাকে চোখে চোখে রাখি
	যদি কভু দেয় সে ফাঁকি
	আমি ভয়ে ভয়ে থাকি গো
	এই মায়াময়ী মেয়ে নিয়ে ভয়ে ভয়ে থাকি গো।
আমি	বহু সাধ্য-সাধনাতে পেয়েছি এই মা-কে রে
	কোটি জনম তপস্যাতে পেয়েছি এই মা-কে রে
	কোথায় রাখি, আমি কাঙালিনী
	কোথায় রাখি স্বর্গের এই রত্ন পেয়ে
আমি	কোথায় রাখি স্বর্গের এই রত্ন পেয়ে।।

বাণী

মরুর ধুলি উঠলো রেঙে রঙিন গোলাপ রাগে
বুলবুলিরা উঠলো গেয়ে মক্কার গুলবাগে।।
	খোদার প্রেমের কোন দিওয়ানা
	দ্বারে দ্বারে দেয় রে হানা,
নবীন আশার আলোক পেয়ে, ঘুমন্ত সব জাগে।।
এ কোন তরণ প্রেমিক এলো কা'বার অঙ্গনে
সবুজ পাতার নিশান দোলায় শুকনো খেজুর বনে।
	এলো নব দীনের নকীব
	চির-চাওয়া খোদার হাবীব
নিখিল পাপী-তাপী যাঁহার পায়ের পরশ মাগে।।

বাণী

মা	কবে তোরে পারব দিতে আমার সকল ভার।
	ভাবতে কখন পারব মাগো নাই কিছু আমার॥
		কারেও আনিনি মা সঙ্গে ক’রে
		রাখতে নারি কারেও ধ’রে
	তুই দিস্, তুই নিস্ মা হ’রে (আমার) কোথায় অধিকার॥
	হাসি খেলি, চলি, ফিরি ইঙ্গিতে মা তোরই,
মা	তোরই মাঝে লভি, তোরই মাঝে মরি।
		পুত্র-মিত্র-কন্যা-জায়া,
		মহামায়া তোরই মায়া,
মা	তোর লীলার পুতুল আমি ভাবতে দে এবার॥