মাগো চিন্ময়ী রূপ ধরে আয়
বাণী
মাগো চিন্ময়ী রূপ ধ’রে আয়। মৃন্ময়ী রূপ তোর পূজি শ্রী দুর্গা তাই দুর্গতি কাটিল না হায়।। যে মহা-শক্তির হয় না বিসর্জন অন্তরে বাহিরে প্রকাশ যার অনুখন মন্দিরে দুর্গে রহে না যে বন্দী সেই দুর্গারে দেশ চায়।। আমাদের দ্বিভুজে দশভুজা-শক্তি দে পরম ব্রহ্মময়ী। শক্তিপূজার ফল ভক্তি কি পাব শুধু হব না কি বিশ্বজয়ী? এই পূজা-বিলাস সংহার কর্ যদি, পুত্র শক্তি নাহি পায়।।
মেঘের হিন্দোলা দেয় পূব-হাওয়াতে দোলা
বাণী
মেঘের হিন্দোলা দেয় পূব-হাওয়াতে দোলা। কে দুলিবি এ-দোলায় আয় আয় ওরে কাজ-ভোলা॥ মেঘ-নটীর নূপুর ঐ বাজে ঝুমুর ঝুমুর, শীর্ণা-তনু ঝর্না তরঙ্গ-উতরোলা॥ ফুল-পসারিণী ঐ দুলিছে বনানী বিনিমূলে বিলায় সে সুরভি, ফুল ছানি। আজ ঘরে ঘরে ফুল-দোল্ সব বন্ধ দুয়ার খোলা॥ জলদ-মৃদঙ বাজে গভীর ঘন আওয়াজে, বাদলা-নিশীথ দুলে ঐ তিমির-কুন্তলা॥
মা এলো রে মা এলো রে
বাণী
মা এলো রে, মা এলো রে, বরষ পরে আপন ছেলের ঘরে সাত কোটি ভাই বোন মিলিয়া আজি ডাকি আকুল স্বরে (মাগো আনন্দময়ী) মা এসেছে! মা এসেছে! আকাশ-পাতাল ‘পরে আনন্দ তাই ধরে না যে আজকে থরে থরে শিউলি ফুলের মত আজ আনন্দ গান করে।। কমল-মুকুল-শাপ্লা বনে ভ্রমর শোনায় গীতি — জাগো জাগো, আজকে মোদের আগমনীর তিথি; জল-তরঙ্গ বেজে ওঠে নদীর বালুচরে।। বুকের মাঝে বাঁশি বাজে অঝোর কলরোলে, দূর-প্রবাসী কাজ ভুলে আয় আপন মায়ের কোলে; আজকে পেলাম মাকে যেন কত যুগের পরে।।
মেঘের ডমরু ঘন বাজে
বাণী
মেঘের ডমরু ঘন বাজে। বিজলি চমকায় আমার বনছায়, মনের ময়ূর যেন সাজে॥ সঘন শ্রাবণ গগন-তলে রিমি ঝিমি ঝিম্ নবধারা জলে, চরণ-ধ্বনি বাজায় কে সে — নয়ন লুটায় তারি লাজে॥ ওড়ে গগন-তলে গানের বলাকা, শিহরণ জাগে উজ্জ্বল পাখা। সুদূরের মেঘে অলকার পানে ভেসে চ’লে যায় শ্রাবণের গানে, কাহার ঠিকানা খুঁজিয়া বেড়ায় — হৃদয়ে কার স্মৃতি রাজে॥