অন্তরে তুমি আছ চিরদিন
বাণী
অন্তরে তুমি আছ চিরদিন ওগো অন্তর্যামী বাহিরে বৃথাই যত খুঁজি তা-ই পাই না তোমারে আমি।। প্রাণের মতন, আত্মার সম আমাতে আছ হে অন্তরতম মন্দির রচি’ বিগ্রহ পূজি দেখে হাস তুমি স্বামী।। সমীরণ সম, আলোর মতন বিশ্বে রয়েছ ছড়ায়ে গন্ধ-কুসুমে সৌরভ সম প্রাণে-প্রাণে আছ জড়ায়ে। তুমি বহুরূপী তুমি রূপহীন — তব লীলা হেরি অন্তবিহিন। তব লুকোচুরি খেলা সহচরী আমি যে দিবসযামী।।
অঞ্জলি লহ মোর সঙ্গীতে
বাণী
অঞ্জলি লহ মোর সঙ্গীতে। প্রদীপ-শিখা সম কাঁপিছে প্রাণ মম তোমায়, হে সুন্দর, বন্দিতে! সঙ্গীতে সঙ্গীতে।। তোমার দেবালয়ে কি সুখে কি জানি দু’লে দু’লে ওঠে আমার দেহখানি আরতি –নৃত্যের ভঙ্গীতে। সঙ্গীতে সঙ্গীতে।। পুলকে বিকশিল প্রেমের শতদল গন্ধে রূপে রসে টলিছে টলমল। তোমার মুখে চাহি আমার বাণী যত লুটাইয়া পড়ে ঝরা ফুলের মত তোমার পদতল রঞ্জিতে। সঙ্গীতে সঙ্গীতে।।
অনেক মানিক আছে শ্যামা
বাণী
অনেক মানিক আছে শ্যামা তোর কালোরূপ-সাগরজলে আমার বুকের মানিক কেড়ে রাখ্লি কোথায় দে মা ব’লে।। কত লতার কোল ক’রে খালি, ফুলের অর্ঘ্য১ নিস্ মা কালি (মোর) সারা বনের একটি কুসুম আছে কি ঐ চরণ-তলে।। একখানি মুখ খুঁজি মাগো তোর কণ্ঠের মুন্ডমালায় একটিবার মা সে মুখ দেখা, আবার কেড়ে পরিস্ গলায়। (না হয়) রাখিস্ পূজার থালায়। অনন্ত তোর রূপের মাঝে, সে কোন্ রূপে মা কোথায় রাজে? মোর নয়ন-তারা তারা হয়ে দোলে কি তোর বুকের কোলে।।
১. ফুলের অর্ঘ্য-এর পরিবর্তে কবি ‘পূজাঞ্জলি’ শব্দটিও ব্যবহার করেছেন।