অনেক ছিল বলার যদি সেদিন
বাণী
অনেক ছিল বলার, যদি সেদিন ভালোবাস্তে গো। পথ ছিল গো চলার, যদি দু’দিন আগে আস্তে গো।। আজিকে মহাসাগর–স্রোতে, চলেছি দূর পারের পথে ঝরা–পাতা হারায় যথা, সেই আঁধারে ভাস্তে গো।। গহন রাতি ডাকে আমায় এলে তুমি আজ্কে কাঁদিয়ে গেলে হায় গো আমার বিদায়–বেলার সাঁঝ্কে। আস্তে যদি হে অতিথি ছিল যখন শুক্লা তিথি ফুটত চাঁপা, সেদিন যদি চৈতালী–চাঁদ হাস্তে।।
অনাদি কাল হতে অনন্তলোক
বাণী
অনাদি কাল হতে অনন্তলোক গাহে তোমারি জয়। আকাশ–বাতাস রবি–গ্রহ তারা চাঁদ, হে প্রেমময়।। সমুদ্র–কল্লোল নির্ঝর–কলতান – হে বিরাট, তোমার উদার জয়গান; ধ্যান গম্ভীর কত শত হিমালয় গাহে তোমারি জয়।। তব নামের বাজায় বীণা বনের পল্লব জনহীন প্রান্তর স্তব করে, নীরব। সকল জাতির কোটি উপাসনালয় গাহে তোমারি জয়।। আলোকের উল্লাসে, আঁধারের তন্দ্রায় তব জয়গান বাজে অপরুপ মহিমায়, কোটি যুগ–যুগান্ত সৃষ্টি প্রলয় গাহে তোমারি জয়।।
অন্তরে তুমি আছ চিরদিন
বাণী
অন্তরে তুমি আছ চিরদিন ওগো অন্তর্যামী বাহিরে বৃথাই যত খুঁজি তা-ই পাই না তোমারে আমি।। প্রাণের মতন, আত্মার সম আমাতে আছ হে অন্তরতম মন্দির রচি’ বিগ্রহ পূজি দেখে হাস তুমি স্বামী।। সমীরণ সম, আলোর মতন বিশ্বে রয়েছ ছড়ায়ে গন্ধ-কুসুমে সৌরভ সম প্রাণে-প্রাণে আছ জড়ায়ে। তুমি বহুরূপী তুমি রূপহীন — তব লীলা হেরি অন্তবিহিন। তব লুকোচুরি খেলা সহচরী আমি যে দিবসযামী।।