বাণী

অবুঝ মোর আঁখি বারি, আমি রোধিতে নারি।।
গ'লেছে যে-নদী জল, কে তারে রোধিবে বল,
পাষাণের সে নারায়ণ তবু সে আমারি।।

বাণী

অ্যগ্যর তুম রাধা হোতে শ্যাম।
মেরি তরা বস আঠোঁ প্যহর তুম, রট্‌কে শ্যামকা নাম।।
বন-ফুলকে মালা নিরালি বন্‌ যাতি নাগন কালি
কৃষ্ঞ-প্রেমকী ভীক্‌ মাঙ্গনে আতে লাখ্‌ যনম্‌।
তুম, আতে ইস্‌ বৃজধাম।।
চুপ্‌কে চুপ্‌কে তুম্‌রে হিরদয় ম বসতা বন্‌সীওয়ালা,
আওর, ধীরে ধীরে উস্‌কী ধূন সে ব্যঢ়তী মন্‌কি জ্বালা।
পন-ঘটমে ন্যয়্যন বিছায়ে তুম্‌, র‍্যহতে আস্‌ ল্যগায়ে
আওর, কালেকে সঙ্গ প্রীত ল্যগাকর্‌ হো জাতে বদনাম।।

বাণী

অনেক কথা বলার মাঝে লুকিয়ে আছে একটি কথা।
বলতে নারি সেই কথাটি তাই এ মুখর ব্যাকুলতা।।
	সেই কথাটি ঢাকার ছলে
	অনেক কথা যাই গো ব’লে
ভাসি আমি নয়ন-জলে বলতে গিয়ে সেই বারতা।।
অবকাশ দেবে কবে কবে সাহস পাবে প্রাণে
লজ্জা ভুলে সেই কথাটি বলব তোমায় কানে কানে।
	মনের বনে অনুরাগে
	কত কথার মুকুল লাগে
সেই মুকুলের বুকে জাগাও ফুটে ওঠার ব্যাকুলতা।।

বাণী

অচেনা সুরে অজানা পথিক
		নিতি গেয়ে যায় করুণ গীতি।
শুনিয়া সে গান দু’লে ওঠে প্রাণ
		জেগে ওঠে কোন্ হারানো স্মৃতি॥
ঘুরিয়া মরে উদাসী সে সুর
সাঁঝের কূলে বিষাদ-বিধুর,
নীড়ে যেতে হায় পাখি ফিরে চায়,
		আবেশে ঝিমায় কুসুম-বীথি॥

বাণী

অবিরত বাদর বরষিছে ঝরঝর
বহিছে তরলতর পূবালি পবন।
	বিজুরী-জ্বালার মালা
	পরিয়া কে মেঘবালা
কাঁদিছে আমারি মত বিষাদ-মগন।।
ভীরু এ মন-মৃগ আলয় খুঁজিয়া ফিরে,
জড়ায়ে ধরিছে লতা সভয়ে বনস্পতিরে,
গগনে মেলিয়া শাখা কাঁদে বন-উপবন।।

চলচ্চিত্রঃ ‌‘ধ্রুব’

বাণী

অধীর অম্বরে গুরু গরজন মৃদঙ বাজে।
রুমু রুমু ঝুম্ মঞ্জীর-মালা চরণে আজ উতলা যে॥
এলোচুলে দু’লে দু’লে বন-পথে চল আলি,
মরা গাঙে বালুচরে কাঁদে যথা বন্-মরালী।
		উগারি’ গাগরি ঝারি
		দে লো দে করুণা ডারি
ঘুঙট উতারি’ বারি ছিটা লো গুমোট সাঁঝে॥
তালীবন হানে তালি, ময়ুরী ইশারা হানে,
আসন পেতেছে ধরা মাঠে মাঠে চারা-ধানে।
মুকুলে ঝরিয়া পড়ি’ আকুতি জানায় যূথী
ডাকিছে বিরস শাখে তাপিতা চন্দনা-তুতি।
		কাজল-আঁখি রসিলি
		চাহে খুলি ঝিলিমিলি,
চল, লো চল সেহেলি, নিয়ে মেঘ-নটরাজে॥

নাটকঃ ‘সেতুবন্ধ’