মাতল গগন-অঙ্গনে ঐ
বাণী
মাতল গগন-অঙ্গনে ঐ আমার রণ-রঙ্গিণী মা। সেই মাতনে উঠল দুলে ভূলোক দ্যুলোক গগন-সীমা।। আঁধার-অসুর-বক্ষপানে অরুণ-আলোর খড়গ হানে, মহাকালের ডম্বরূতে উঠল বেজে মা’র মহিমা।। সৃষ্টি-প্রলয় যুগল নূপুর বাজে শ্যামার যুগল পায়ে, গড়িয়ে পড়ে তারার মালা উল্কা হয়ে গগন-গায়ে। লক্ষ গ্রহের মুন্ডমালা দোলে গলে দোলে ঐ বজ্র-ভেরীর ছন্দ-তালে নাচে শ্যামা তাথৈ থৈ, অগ্নি-শিখায় ঝলকে ওঠে খড়গ-ঝরা লাল শোণিমা।।
মেঘ-বরণ কন্যা থাকে মেঘলামতীর দেশে
বাণী
মেঘ-বরণ কন্যা থাকে মেঘলামতীর দেশে (রে) সেই দেশে মেঘ জল ঢালিও তাহার আকুল কেশে।। তাহার কালো চোখের কাজল শাওন মেঘের চেয়ে শ্যামল চাউনিতে তার বিজলি ছড়ায় চমক বেড়ায় ভেসে (রে)।। সে ব’সে থাকে পা ডুবিয়ে ঘুমতী নদীর জলে কভু দাঁড়িয়ে থাকে ছবির মত একলা তরু-তলে (রে)। কদম ফুলের মালা গেঁথে ছড়িয়ে সে দেয় ধানের ক্ষেতে তারে দেখতে পেলে আমার কথা (তারে) কইও ভালোবেসে।।
মোহাম্মদ মোস্তফা সাল্লে আলা
বাণী
মোহাম্মদ মোস্তফা সাল্লে আলা তুমি বাদ্শারও বাদ্শাহ্ কম্লিওয়ালা।। পাপে-তাপে পূর্ণ আঁধার দুনিয়া হ’ল পুণ্য বেহেশ্তী নূরে উজালা।। গুনাহ্গার উম্মত লাগি’ তব আজো চয়ন্ নাহি, কাঁদিছ নিরালা।। কিয়ামতে পিয়াসি উম্মত লাগি’ দাঁড়ায়ে রবে ল’য়ে তহুরার পিয়ালা।। জ্বলিবে রোজ হাশরে দ্বাদশ রবি কাঁদিবে নফ্সি ব’লে সকল নবী য়্যা উম্মতী য়্যা উম্মতী, একেলা তুমি কাঁদিবে খোদার পাক আরশ চুমি’ — পাপী উম্মত ত্রাণ তব জপমালা ধ্যান তব গুণ গাহিল খোদ্ আল্লাহতা’লা।।