ঘন গগন ঘিরিল ঘন ঘোর
বাণী
ঘন গগন ঘিরিল ঘন ঘোর। শাওন-ধারা ঘন-শ্যাম-বরণ চরণ লাগি’ ঝর ঝরে অঝোর্।। কুহু কেকা গাছে চম্পা শাখে (গো) বিরহী বেণু ডাকে প্রিয়তমাকে১ (গো), মেঘ-মাঝে খুঁজে ফিরে সৌদামিনী কোথা লুকালো প্রিয়-ঘন চিতচোর।। রহে না মন ঘরে অন্ধকারে অভিসারে যেতে চায় বন-‘পারে, ঝুরে মৌন ব্যথায় কাননে কেতকী কাঁদে চিত-চাতকী কোথা শ্যাম কিশোর।।
১. কাহাকে
ঘুম পাড়ানি মাসিপিসি
বাণী
ঘুম পাড়ানি মাসিপিসি ঘুম দিয়ে যেয়ো, বাটা ভ’রে পান দেবো গাল ভ’রে খেয়ো। ঘুম আয় রে, ঘুম আয় ঘুম।। ঘুম আয় রে, দুষ্টু খোকায় ছুঁয়ে যা চোখের পাতা লজ্জাবতী লতার মত নুয়ে যা, ঘুম আয় রে, ঘুম আয় ঘুম।। মেঘের মশারিতে রাতের চাঁদ পড়ল ঘুমিয়ে, খোকার চোখের পাপড়ি পড়ুক ঘুমে ঝিমিয়ে। শুশুনি শাক খাওয়াব, ঘুম পাড়ানি আয় ঝিঁঝিঁ পোকার নূপুর খোল, খোকা ঘুম যায়, ঘুম আয় রে, ঘুম আয় ঘুম।।
চলচ্চিত্র : ‘চৌরঙ্গী’
ঘরে কে গো বলি ঘরে কে
বাণী
[সংলাপঃ পুরুষ: ঘরে কে গো? (দরজায় টোকার শব্দ) বলি ঘরে কে? (আবার টোকার শব্দ) শালাজ নাকি — ও হো-হো-হো-হো ...] পুরুষ : ঘরে কে গো? বলি ঘরে কে, শালাজ নাকি? এ যে মোর গোয়ালের গাই। স্ত্রী : ও ছোট ঠাকুর ঝি, ওলো আয় আয়, দেখে যা এসেছে নন্দাই। এ যে মোর ননদের ভাই। পুরুষ : দেখ, রাত্রি জেগে গুনব কত চালের কড়ি কাঠ স্ত্রী : তাইতো, আগে হয়নি সারা আমার ঘর কন্নার পাট। পুরুষ : তোমার কাজের মাথায় মারো লাঠি স্ত্রী : আমি নিয়ে শীতল পাটি মাস-শাশুড়ির পা টিপিতে যাই। পুরুষ : ওগো শুনছো! শোনো শোনো শোনো না — সত্যি সত্যি চললে, নতুনতর ঝুমকোর এক নমুনা এনেছি (আমি)। স্ত্রী : অ্যা, তাই নাকি! পুরুষ : হ্যা — গো — হ্যা। স্ত্রী : কাল চাল ডাল বাছবো, চল এই আমি আসিতেছি ওগো এই আমি আসিতেছি পুরুষ : না না, ও তোমায় পা টিপিতে বলেছিলেন কি ভাবিবেন মাসি স্ত্রী : আমার গা করছে বমি বমি তাকে বলে আসি। পুরুষ : এমন শ্যাকরার মত বিন্দে দূতি কলিকালের বৃন্দাবনে নাই॥ বেঁচে থাক বাবা শ্যাকরার পো হুল্লোড় ঘটালে তবে ছাড়লে॥
ঘুমায়েছে ফুল পথের ধূলায়
বাণী
ঘুমায়েছে ফুল পথের ধূলায় (ওগো) জাগিয়ো না উহারে ঘুমাইতে দাও। বনের পাখী ধীরে গাহ গান দখিনা হাওয়া ধীরে ধীরে বয়ে যাও।। এখনো শুকায়নি চোখে তারই জল এখনো আঁধারে হাসি ছলছল প্রভাত রবি শুকায়ো না তায় ধীরে কিরণে তাহারি নয়নে চাও।। সামলে পথিক ফেলিয়ো চরন ঝরেছে হেথায় ফুলেরও জীবন। ভুলিয়া দল না ঝরা পাতাগুলি ফুল সমাধি থাকিতে পারে হেথাও।।
ঘুমাইতে দাও শ্রান্ত রবি রে
বাণী
ঘুমাইতে দাও শ্রান্ত রবি রে জাগায়ো না জাগায়ো না, সারা জীবন যে আলো দিল ডেকে তার ঘুম ভাঙায়ো না।। যে সহস্র করে রূপরস দিয়া জননীর কোলে পড়িল ঢলিয়া তাঁহারে শান্তি-চন্দন দাও ক্রন্দনে রাঙায়ো না।। যে তেজ শৌর্য-শক্তি দিলেন, আপনারে করি ক্ষয় তাই হাত পেতে নাও। বিদেহ রবি ও ইন্দ্র মোদের নিত্য দেবেন জয় কবিরে ঘুমাতে দাও। অন্তরে হের হারানো রবির জ্যোতি সেইখানে তারে নিত্য কর প্রণতি আর কেঁদে তাঁরে কাঁদায়ো না।।