বাণী

জাগো ভারত রানী ভারতজন্ তুম্ হে চাহে
গগনমে উঠত যো বাণী সো হি জগজন গাহে॥
		রোবত ভারতকে ন্যরনারী
		বোলাতা জ্যগ মাই হামারী
দুঃখ-দৈন্য ভারতকো ঘেরি তুম অব সেবত কাহে॥
		নীল সিন্ধু তুম্‌হা লাগি
		গ্যরজত ঘন অনুরাগী
কেঁউ নাহি উঠত জাগি যব্ ভারত প্রেম গাহে॥

বাণী

জবা কুসুম-সঙ্কাশ ঐ উদার অরুণোদয়।
অপগত তমোভয় জয় হে জ্যোতির্ময়।।
জননীর সম স্নেহ-সজল, নীল গাঢ় গগন-তল
সুপেয় বারি প্রসুন ফল —
তব দান অক্ষয়, অপহৃত সংশয়
		জয় হে জ্যোতির্ময়।।

বাণী

জয়-জগৎ-জননী, ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বর বন্দিতা,
		জয় মা-ত্রিলোক তারিণী।
জয় আদ্যাশক্তি পরমেশ্বরী নন্দন-লোক-নন্দিতা
			জয় দুর্গতিহারিণী।।
তোমাতে সর্বজীবের বসতি, সর্বাশ্রয় তুমি মা,
জয় হয় সব বন্ধন পাপ-তাপ তব পদ চুমি’ মা।
তুমি শাশ্বতী, সৃষ্টি-স্থিতি, তুমি মা প্রলয়কারিণী।।
তুমি মা শ্রদ্ধা, প্রেম, ভক্তি তুমি কল্যাণ সিদ্ধি
ধর্ম, অর্থ, কাম, মোক্ষ তুমি তিন-জন ঋদ্ধি,
জয় বরাভয়া ত্রিগুণময়ী দশ-প্রহরণ-ধারিণী।।

নাটক : ‘বিদ্যাপতি’ (স্তব)

বাণী

জনম জনম গেল আশা–পথ চাহি’।
মরু–মুসাফির চলি, পার নাহি নাহি।।
বরষ পরে বরষ আসে যায় ফিরে,
পিপাসা মিটায়ে চলি নয়নের নীরে।
জ্বালিয়া আলেয়া–শিখা, নিরাশার মরীচিকা
ডাকে মরু–কাননিকা শত গীত গাহি’।।
এ মরু ছিল গো কবে সাগরের বারি
স্বপন হেরি গো তারি আজো মরুচারী।
সেই সে সাগর–তলে, যে তরী ডুবিল জলে
সে তরী–সাথীরে খুঁজি মরু–পথ বাহি’।।

বাণী

জগতে আজিকে যারা
আগে চলে ভয়-হারা
ডেকে যায় আজি তারা,
		চল্‌ রে সুমুখে চল।
পিছু পানে চেয়ে’ মিছে
প’ড়ে আছি সব নীচে,
চাস্‌নে রে তোরা পিছে
		অগ্র-পথিক দল।।
চলার বেগে উঠবে জেগে বনে নূতন পথ
বর্তমানের পানে মোদের চল্‌বে অরুণ-রথ,
অতীত আজি পতিত রে ভাই, রচ্‌ব ভবিষ্যৎ।
স্বর্গ মোরা আন্‌ব, না হয় যাব রসাতল।।
	রইব না পিছে প’ড়ে
	অতীতের কঙ্কাল ধ’রে,
বইবে নব জীবন-স্রোত যৌবন-চঞ্চল।
বিশ্ব-সভাঙ্গনে সকল জাতির সনে
বসিব সম-আসনে গৌরব-উজ্জ্বল।।

বাণী

জানি	জানি প্রিয়, এ জীবনে মিটিবে না সাধ
আমি	জলের কুমুদিনী ঝরিব জলে
তুমি	দূর গগনে থাকি’ কাঁদিবে চাঁদ।।
	আমাদের মাঝে বঁধু বিরহ বাতাস
	চিরদিন ফেলে যাবে দীরঘ শ্বাস
	পায় না বুকে কভু পায় না বুকে তবু মুখে মুখে
	চাঁদ কুমুদীর নামে রটে অপবাদ।।
তুমি	কত দূরে বঁধু, তবু বুকে এত মধু কেন উথলায়?
	হাতের কাছে রহো রাতের চাঁদ গো
	ধরা নাহি যায় তবু ছোঁওয়া নাহি যায়।
	মরু-তৃষা ল’য়ে কাঁদে শূন্য হিয়া
	সকলে বলে আমি তোমারি প্রিয়া
সেই	কলঙ্ক-গৌরব সৌরভ দিল গো
	মধুর হ’ল মোর বিরহ-বিষাদ।।