বাণী

আয় আয় মোর ময়ূর-বিমান আকাশ-নদী বেয়ে।
ফুল ফোটানো হাওয়ায় ভেসে চাঁদের আলোয় নেয়ে।।

নাটক : ‘মধুমালা’ (স্বপনপরীর গান)

বাণী

আমার	হৃদয় হবে রাঙাজবা দেহ বিল্বদল,
মুক্তি		পাবো ছুঁয়ে মুক্তকেশীর চরণতল॥
মোর		বলির পশু হবে সর্বকাম,
মোর		পূজার মন্ত্র হবে মায়ের নাম,
মোর		অশ্রু দেবো মা’র চরণে সেই তো গঙ্গাজল॥
মোর		আনন্দ মাকে দেবো তাই হবে চন্দন,
মোর		পুষ্পাঞ্জলি হবে আমার প্রাণ মন।
মোর		জীবন হবে আরতি-দীপ,
মোর		গুরু হবেন শঙ্কর-শিব,
মোর		কাঁটার জ্বালা পদ্ম হবে শুভ্র সুনির্মল॥

বাণী

আমার মা ত্বং হি তারা
তুমি ত্রিগুণধরা পরাৎপরা
মা ত্বং হি তারা।
আমি জানি মা ও দীনদয়াময়ী
তুমি দুর্গমেতে দুঃখহরা,
মা ত্বং হি তারা।
তুমি জলে তুমি স্থলে তুমি আদ্যমূলে গো মা,
আছ সর্বঘটে অর্ঘ্যপুটে সাকার আকার নিরাকারা
মা ত্বং হি তারা।
তুমি সন্ধ্যা তুমি গায়ত্রী তুমি জগদ্ধাত্রী গো মা
অকুলের প্রাণকর্ত্রী সদা শিবের মনোহরা।
মা ত্বং হি তারা।।

বাণী

আজি পিয়াল ডালে বাঁধো বাঁধো ঝুলনা।
পড় ধানী শাড়ি, মেঘ-রঙ ওড়না।।
জলদ-তাল বাজে শ্রাবণ-মেঘে
তরুরে জড়ায়ে দোলে বন-লতা পবন বেগে
মনের মাঝে দোলে মিলন-বিরহ-দোলনা।।
শান্ত আকাশে আজি বেদনা ঘনায়
কত কি বলিতে চায় শ্রাবণ-ধারায়,
(তার) তবু মনের কথা বলা হ'ল না।।
তমাল-কুঞ্জে চল চল দুলিতে,
গাহ ঝুলনের গান ব্রজ-বুলিতে,
আজি আসে মনে বৃন্দাবনের তুলনা।।

বাণী

আশা-নিরাশায় দিন কেটে যায় হে প্রিয় কবে আসিবে?
প্রতি নিঃশ্বাসে নয়ন প্রদীপ মোর আসিছে নিভে।।
		ফুল ঝরে যায় হায়, পুন ফুল ফোটে
		কৃষ্ণা তিথির শেষে চাঁদ হেসে ওঠে
আমারি নিশীথের অসীম আঁধার ওগো চাঁদ কবে নাসিবে।।
শীত যায় মনোবনে ফাল্গুন আসে গো আসিল না আমারই ফাল্গুন
চাঁদের কিরণে পৃথিবী শীতল হায় মোর বুকে জ্বালে সে আগুন।
		নিশীথে বকুল শাখে
		পিয়া পিয়া পাপিয়া ডাকে
আমারই প্রিয়তম ‘জাগো পিয়া’ বলে কবে ডাকিবে।।

বাণী

ঝর্না	: আমি চাই পৃথিবীর ফুল ছায়া ঢাকা ঘরে খেলা।
ব্রহ্মপুত্র	: আমি চাই দূর আকাশের তারা সাগরে ভাসাতে ভেলা।।
ঝর্না	: আমি চাই আয়ু, চাই আলো প্রাণ
ব্রহ্মপুত্র	: মরণের মাঝে মোর অভিযান,
উভয়ে	: মোরা একটি বৃন্তে যেন দু’টি ফুল প্রেম আর অবহেলা।।
ব্রহ্মপুত্র	: আমি বাহির ভুবনে ছুটে যেতে চাই উদাসীন সন্ন্যাসী,
ঝর্না	: হে উদাসীন! তব তপোবনে তাই উর্বশী হয়ে আসি।
ব্রহ্মপুত্র	: মোর ধ্বংসের মাঝে উল্লাস জাগে
ঝর্না	: তাই বাঁধি নিতি নব অনুরাগে,
উভয়ে	: মোরা চিরদিন খেলি এই খেলা, গ’ড়ে তোলা ভেঙে ফেলা।।

নাটক : `হরপার্বতী’ (ঝর্না ও ব্রহ্মপুত্রের দ্বৈত গান)