বাণী

আমি আছি  ব'লে দুখ পাও তুমি তাই আমি যাব চ'লে
এবার ঘুমাও প্রদীপের কাজ শেষ হয়ে গেছে জ্ব'লে।।
	আর আসিবে না কোন অশান্তি
	আর আসিবে না ভয়ের ভ্রান্তি
আর ভাঙিব না ঘুম নিশীথে গো 'জাগো প্রিয়া জাগো' বলে।।
হয়তো আবার সুদূর শূন্য আকাশে বাজিবে বাশিঁ,
গোপী-চন্দন গন্ধ আসিবে বাতায়ন পথে ভাসি'।
	চম্পার ডালে বিরহী পাপিয়া
	'পিয়া পিয়া' বলে উঠিবে ডাকিয়া
বৃন্দাবন কি ভাসিবে (আসিবে) সেদিন রোদন-যমুনা জলে।।

বাণী

আমি গো-রাখা রাখাল।
যারা গোপের মতন চির-সরলমন —
তাদেরি সাথে আমি খেলি চিরকাল গো।।
নয়ন বুঁজে ধ্যানী আমারে খুঁজে যে গিরি-গুহায়,
(সেই) গিরি ধরিয়া রহি গিরিধারী ওরা দেখিতে না পায়।
আমি নন্দ-লালার বেশে
কাছে আসি মৃদু হেসে,
ওরা ভাবে হরি শুধু বিপুল বিশাল।।
(ওরা প্রেম যে পায়নি,
ওরা সহজে গোপীর মত ভালোবেসে চায়নি
প্রেম যে পায়নি!)

নাটক : ‘অর্জুন-বিজয়’

বাণী

আজ		বাদল ঝরে		মোর		একেলা ঘরে।
হায়		কী মনে পড়ে	মন		এমন করে।।
আজ		এমন দিনে		কোন্ 		নীড়হারা পাখি
যাও		কাঁদিয়া কোথায়	কোন্ 		সাথীরে ডাকি’।
তোর		ভেঙেছে পাখা	কোন্ 		আকুল ঝড়ে।।
আয়		ঝড়ের পাখি		আয়		আমার এ বুকে
আয়		দিব রে আশয়	মোর		গহন-দুখে।
আয়		বাঁধিব বাসা		আজ		নূতন ক’রে।।

বাণী

আমার আছে এই ক’খানি গান
তা’ দিয়ে কি ভর’বে তোমার প্রাণ।।
		অনেক বেশি তোমার দাবি
		শূন্য হাতে তাইতো ভাবি,
কি দান দিয়ে ভাঙবো তোমার গভীর অভিমান।।
	তুমি চাহ গভীর ব্যাকুলতা
	আমার কাছে বলার দুটি কথা।
		যে বাঁশরি গায় অবিরাম
		প্রিয়তম তোমারি নাম
যাবার বেলায় তোমায় দিলাম সেই বাঁশরি খান।।

বাণী

আমি যার নূপুরের ছন্দ বেণুকার সুর - 
কে সেই সুন্দর কে! 
আমি যার বিলাস-যমুনা বিরহ-বিধুর 
কে সেই সুন্দর কে।। 
যাহার গানের আমি বনমালা 
আমি যার কথার কুসুম-ডালা, 
না-দেখা সুদূর - 
কে সেই সুন্দর কে।। 
যার শিখী-পাখা লেখনী হয়ে 
গোপনে মোরে কবিতা লেখায় 
সে রহে কোথায় হায়! 
আমি যার বরষার আনন্দ-কেকা 
নৃত্যের সঙ্গিনী দামিনী-রেখা, 
যে মম অঙ্গে কাঁকন-কেয়ূর 
কে সেই সুন্দর কে।। 

বাণী

আয় আয় মোর ময়ূর-বিমান আকাশ-নদী বেয়ে।
ফুল ফোটানো হাওয়ায় ভেসে চাঁদের আলোয় নেয়ে।।

নাটক : ‘মধুমালা’ (স্বপনপরীর গান)