বাণী

আজি	চৈতী হাওয়ার মাতন লাগে হলুদ চাঁপার ডালে ডালে।
	তালী বনে বাজে তারি করতালি ঐ তালে তালে।।
		ভ্রমর মুখে গুনগুনিয়ে
		যায় সে মৃদু সুর শুনিয়ে
	শুকনো পাতার মর্মরে তার নূপুর বাজে রুনুঝুনিয়ে।।
	ফুলে পাতায় রঙ মাখায় সে ফিকে সবুজ নীলে লালে
আজি	ওড়ে তাহার রঙের নিশান প্রজাপতির পাখার পালে পালে।।

রেকর্ড-নাটিকা, ‘বাসন্তিকা’

বাণী

আমার সারা জনম কেঁদে গেল
	(কবে) শেষ হবে মোর কাঁদা।
পথে পথে ঘুরে মরি, পদে পদে বাধা।।
	বাঁচ্‌তে চাইরে যে ডাল ধরে’
	সে ডাল অম্‌নি ভেঙে পড়ে,
সুখের আশায় ছুটে ছুটে দুঃখ হ’ল সাধা।।
দুঃখী জনের বন্ধু কোথায় দীনের সহায় কোথা,
(নাই) অসহায়ের তরে বুঝি বিধাতারও ব্যথা।
	আকুল হয়ে কাঁদি যত
	বেড়ে ওঠে বোঝা তত,
আদায় ক’রে ফিরি যেন আমি দুখের চাঁদা।।

বাণী

আমারে চোখ ইশারায় ডাক দিলে হায় কে গো দরদি।
খুলে দাও রং মহলার তিমির-দুয়ার ডাকিলে যদি।।
গোপনে চৈতী হাওয়ায় গুল্‌-বাগিচায় পাঠালে লিপি,
দেখে তাই ডাক্‌ছে ডালে কু কু ব’লে কোয়েলা ননদী।।
পাঠালে ঘূর্ণি-দূতী ঝড়-কপোতী বৈশাখে সখি
বরষায় সেই ভরসায় মোর পানে চায় জল-ভরা নদী।।
তোমারি অশ্রু ঝলে শিউলি তলে সিক্ত শরতে,
হিমানীর পরশ বুলাও ঘুম ভেঙে দাও দ্বার যদি রোধি।।
পউষের শূন্য মাঠে একলা বাটে চাও বিরহিণী,
দুঁহু হায় চাই বিষাদে, মধ্যে কাঁদে তৃষ্ণা-জলধি।।
ভিড়ে যা ভোর-বাতাসে ফুল-সুবাসে রে ভোমর কবি
ঊষসীর শিশ্‌-মহলে আস্‌তে যদি চাস্‌ নিরবধি।।

বাণী

আমার যাবার সময় হলো, দাও বিদায়।
মোছ আঁখি, দুয়ার খোলো, দাও বিদায়।।
ফোটে যে ফুল আঁধার রাতে
ঝরে ধূলায় ভোর বেলাতে
আমায় তারা ডাকে সাথে - আয় রে আয়।
সজল করুণ নয়ন তোলো, দাও বিদায়।।
অন্ধকারে এসেছিলাম থাকতে আঁধার যাই চ’লে;
ক্ষণিক ভালোবেসেছিলেম চিরকালের না-ই হ’লে।
হ’লো চেনা হ’লো দেখা
নয়ন-জলে রইলো লেখা
দূর বিরহের ডাকে কেকা বরষায়
ফাগুন স্বপন ভোলো ভোলো,দাও বিদায়।।

বাণী

আকাশে ভোরের তারা মুখ পানে চেয়ে আছে
ঝরা-ফুল অঞ্জলি পড়ে আছে,পা'র কাছে।
	দেবতা গো,জাগো জাগো জাগো।।
আঁধার-ঘোমটা খুলি শতদল আঁখি তুলি'
পৃথিবী প্রসাদ যাচে দেবতা গো,জাগো।।
কপোত-কণ্ঠে শোন তব বন্দনা বাজে
তোমারে হেরিতে ঊষা দাঁড়ায় বধূর সাজে।
দেবতা,তোমার লাগি'আজি আছি নিশি জাগি’'
ভীরু এ মনের কলি হের,দল মেলিয়াছে।
	দেবতা গো,জাগো।।

বাণী

আমার	শ্যামা মায়ের কোলে চ’ড়ে জপি আমি শ্যামের নাম
		মা হলেন মোর মন্ত্র-গুরু ঠাকুর হলেন রাধা-শ্যাম।।
			ডুবে শ্যামা-যমুনাতে
		মা 	খেলবো খেলা শ্যামের সাথে
		শ্যাম যবে মোরে হানবে হেলা মা পুরাবেন মনস্কাম।।
		আমার মনের দোতারাতে শ্যাম ও শ্যামা দুটি তার,
		সেই দোতারায় ঝঙ্কার দেয় ওঙ্কার রব অনিবার।
			মহামায়া মায়ার ডোরে
			আনবে বেঁধে শ্যাম-কিশোরে
আমি		কৈলাসে তাই মাকে ডাকি দেখবো সেথা ব্রজধাম।।