বাণী

আজিকে তনু মনে লেগেছে রঙ লেগেছে রঙ
বঁধূর বেশে ধরা সেজেছে অভিনব ঢঙ।।
	কাননে আলো-ছায়া
	নয়নে রঙের মায়া
দোলে দোদুল কায়া পরানে বাজিছে সারঙ।।
	সে-রঙে সাগর-কোলে
	কত চাঁদ, রবি দোলে
বাজে গগন তলে জলদ তালে মেঘ-মৃদঙ।।

বাণী

আমি দ্বার খুলে আর রাখব না, পালিয়ে যাবে গো।
জানবে সবে গো, নাম ধরে আর ডাকব না।।
	এবার পূজার প্রদীপ হয়ে
	জ্বলবে আমার দেবালয়ে,
জ্বালিয়ে যাবে গো — আর আঁচল দিয়ে ঢাকব না।।
হার মেনেছি গো, হার দিয়ে আর বাঁধব না।
দান এনেছি গো, প্রাণ চেয়ে আর কাঁদব না।
	পাষাণ, তোমায় বন্দী ক’রে
	রাখব আমার ঠাকুর ঘরে,
রইব কাছে গো — আর অন্তরালে থাকব না।।

বাণী

আজি নাচে নটরাজ এ কী ছন্দে ছন্দে।
	কী জানি কী সুখাভাসে
	মৃদু মৃদু মধু হাসে
কে জানে মাতিল কোন আনন্দে।।
	ধুতুরা খুলিয়া ফেলি’
	পড়েছে চম্পা বেলি
অপরূপ রূপ হেরি সবে বন্দে।।
সুরধুনী গঙ্গে তরল তরঙ্গে,
ছন্দে তুলিল ধ্বনি তরঙ্গ রঙ্গে।
	উমারে লইয়া বুকে
	মহাকাল দোলে সুখে
রবি শশী গ্রহতারা অভিবন্দে।।

বাণী

আমায় নহে গো – ভালবাস শুধু ভালবাস মোর গান।
বনের পাখিরে কে চিনে রাখে গান হ’লে অবসান।।
চাঁদেরে কে চায় – জোছনা সবাই যাচে,
গীত শেষে বীণা প’ড়ে থাকে ধূলি মাঝে;
তুমি বুঝিবে না বুঝিবে না —
আলো দিতে পোড়ে কত প্রদীপের প্রাণ।।
যে কাঁটা-লতার আঁখি-জল, হায়, ফুল হ’য়ে ওঠে ফুটে —
ফুল নিয়ে তায় দিয়েছ কি কিছু শূন্য পত্র-পুটে!
সবাই তৃষ্ণা মিটায় নদীর জলে,
কী তৃষা জাগে সে নদীর হিয়া-তলে —
বেদনার মহাসাগরের কাছে কর সন্ধান।।

বাণী

আসিয়া কাছে গেলে ফিরে
কেন আসিয়া কাছে গেলে ফিরে।।
	মুখের হাসি সহসা কেন
	নিভে গেল আঁখি নীরে
ফুটিতে গিয়া কোন কথার মুকুল
	ঝরে গেল অধরের তীরে।।
ঝড় উঠিয়াছে বাহির ভুবনে আঁধার নামে বন ঘিরে
যে কথা বলিলে না-ব'লে যাও বিদায়-সন্ধ্যা তিমিরে।।

বাণী

আমার প্রিয় হজরত নবী কমলিওয়ালা
যাঁহার রওশনীতে দীন দুনিয়া উজালা।।
যাঁরে খুঁজে ফেরে কোটি গ্রহ তারা,
ঈদের চাঁদে যাঁহার নামের ইশারা,
বাগিচায় গোলাব গুল্‌ গাঁথে যাঁর মালা।।
আউলিয়া আম্বিয়া দরবেশ যাঁর নাম
খোদার নামের পরে জপে অবিরাম
কেয়ামতে যাঁর হাতে কওসর-পিয়ালা।।
পাপে-মগ্ন ধরা যাঁহার ফজিলতে
ভাসিল সুমধুর তৌহিদ-স্রোতে,
মহিমা যাঁহার জানেন এক আল্লাতা’লা।।