বাণী

কত খুঁজিলাম নীল কুমুদ তোরে।
আছে নীল জল শূন্যে সরসী ভ’রে।।
উঠেছে আকাশে চাঁদ, ফুটেছে তারা
আছে সব একা মোর কুমুদ হারা,
অভিমানে সে কি গিয়াছে ঝ’রে।।

নাটক : ‘মহুয়া’

বাণী

কথা কও, কও কথা, থাকিও না চুপ ক'রে।
মৌন গগনে হের কথার বৃষ্টি ঝরে।।
ধীর সমীরণ নাহি যদি কহে কথা
ফোটে না কুসুম, নাহি দোলে বনলতা।
কমল মেলে না দল, যদি ভ্রমর না গুঞ্জরে।।
শোন কপোতীর কাছে কপোত কি কথা কহে,
পাহাড়ের ধ্যান ভাঙি মুখর ঝর্ণা বহে।
আমার কথার লঘু মেঘগুলি হায়!
জ'মে হিম হয়ে যায় তোমার নীরবতায়;
এসো আরো কাছে এসো কথার নূপুর প'রে।।

গীতিচিত্রঃ অতনুর দেশ

বাণী

কেন করুণ সুরে হৃদয় পুরে বাজিছে বাঁশরি
ঘনায় গহন নীরদ সঘন নয়ন মন ভরি॥
বিজলি চমকে পবন দমকে পরান কাঁপে রে
বুকের বঁধুরে বুকে বেঁধে ঝুরে বিধুরা কিশোরী॥

বাণী

		কোথা চাঁদ আমার!
		নিখিল ভুবন মোর ঘিরিল আঁধার।।
ওগো		বন্ধু আমার, হ’তে কুসুম যদি,
		রাখিতাম কেশে তুলি’ নিরবধি।
		রাখিতাম বুকে চাপি’ হ’তে যদি হার।।
আমার		উদয়-তারার শাড়ি ছিঁড়েছে কবে,
		কামরাঙা শাঁখা আর হাতে কি রবে।
		ফিরে এসো, খোলা আজো দখিন-দুয়ার।।

বাণী

কে এলো।
ডাকে চোখ গেল।।
ওলো ও-ডাকে কি ও
ঘুমের সতিনী ও,
ও যে চোখের বালি
ঘুম ভাঙায় খালি।।
সখি আঁখি মেল —
মেল আঁখি মেল।।

বাণী

কেন		প্রেম-যমুনা আজি হলো অধীর
দোলে		টলমল রহে না স্থির।।
		মানে না বারণ উথলে বারি
		ভাসালো কুললাজ রুধিতে নারি
সখি		ডাক শুনেছে সে কার মুরলীল।।

নাটকঃ ‘সিরাজদ্দৌলা’