কোন্ ফুলেরি মালা দিই তোমার গলে
বাণী
পুরুষ : কোন্ ফুলেরি মালা দিই তোমার গলে লো প্রিয়া বুলবুল গাহিয়া উঠে তব ফুলেল পরশ নিয়া॥ স্ত্রী : হাতে দিও হেনার গুছি কেশে শিরিন ফুল। কর্ণে দিও টগর কুঁড়ি অপ্রাজিতার দুল। বুন্দকলির মালা দিও নাই পেলে বকুল ফুলের সাথে হৃদয় দিতে হয় না যেন ভুল॥ পুরুষ : কোন ভূষণে রানী ও রূপের করি আরতি হয় সোনার বরণ মলিন হেরি তোমার রূপের জ্যোতি। স্ত্রী : তোমার বাহুর বাঁধন প্রিয় সেই তো গলার হার হাতে দিও মিলন রাখি খুলবে না যা আর। কানে দিও কানে কানে কথার দু’টি দুল নিত্য নূতন ভূষণ দিও প্রেমের কামনার॥ পুরুষ : কোন নামেতে ডাকি সাধ না মেটে কোনো নামে তব নাম-গানে সব কবি হার মানে ধরাধামে। স্ত্রী : সুখের দিনে সখি ব’লো সেই তো মধুর নাম দুখের দিনে বন্ধু ব’লে ডেকো অবিরাম। নিরালাতে রানী বলো শ্রবণ অভিরাম বুকে চেপে প্রিয়া ব’লো সেই তো আমার নাম॥
নাটিকাঃ ‘বিয়ে বাড়ি’
কথা কও কও কথা থাকিও না চুপ ক'রে
বাণী
কথা কও, কও কথা, থাকিও না চুপ ক'রে। মৌন গগনে হের কথার বৃষ্টি ঝরে।। ধীর সমীরণ নাহি যদি কহে কথা ফোটে না কুসুম, নাহি দোলে বনলতা। কমল মেলে না দল, যদি ভ্রমর না গুঞ্জরে।। শোন কপোতীর কাছে কপোত কি কথা কহে, পাহাড়ের ধ্যান ভাঙি মুখর ঝর্ণা বহে। আমার কথার লঘু মেঘগুলি হায়! জ'মে হিম হয়ে যায় তোমার নীরবতায়; এসো আরো কাছে এসো কথার নূপুর প'রে।।
গীতিচিত্রঃ অতনুর দেশ
কে বলে মোর মাকে কালো
বাণী
কে বলে মোর মাকে কালো, মা যে আমার জ্যোতির্মতী। কোটি চন্দ্র সূর্য তারা নিত্য করে যার আরতি।। কালো রূপের মায়া দিয়ে মহামায়া রয় লুকিয়ে, মায়ের শুভ্ররূপ দেখেছে শুভ্র শুচি যার ভকতি।। যোগীন্দ্র যাঁর চরণ-তলে ধ্যান করে রে যাঁর মহিমা, দু’টি নয়ন-প্রদীপ জ্বেলে খুঁজি সেই অসীমার সীমা। সাজিয়ে কালী গৌরী মাকে পূজা করি তমসাকে, মায়ের শুভ্ররূপ দেখেছে শুভ্র শুচি যার ভকতি।।
কৃষ্ণ কৃষ্ণ বোল রে মন কৃষ্ণ কৃষ্ণ বোল
বাণী
কৃষ্ণ কৃষ্ণ বোল রে মন, কৃষ্ণ কৃষ্ণ বোল কৃষ্ণ কৃষ্ণ বোল রে মন, প্রেমের লহর তোল রে মন মায়ার বন্ধন খোল।। নিরালা হৃদয়-যমুনাতে কে বাজায় বাঁশি আধেক রাতে তুই কুল ভুলে চল তাহারি সাথে প্রেম-আনন্দে দোল। ও তুই প্রেম-আনন্দে দোল।। সে গোলক হাতে ভালবাসে গোকুল বৃন্দাবন মধুর প্রেমের-ভিখারি সে মদন মোহন। প্রেম দিয়ে যে বাঁধতে পারে, সাধ কবে তার কাছে হারে মুনি-ঋষি পায় না তারে গোপীরা পায় কোল। ও তার গোপীরা পায় কোল।।