কৃষ্ণা নিশীথ নাচে ঝিল্লির নূপুর
বাণী
কৃষ্ণা নিশীথ নাচে ঝিল্লির নূপুর বাজে। রিমিঝিমি রিমিঝিমি মৃদু আওয়াজে।। আঁধারের চাঁচর চিকুর খুলিয়া আপন মনে নাচে হেলিয়া দুলিয়া, মুঠি মুঠি হিম-কণা তারা-ফুল তুলিয়া ছুঁড়ে ফেলে ধরণী মাঝে।। তার মণি-হার খুলে পড়ে উল্কা-মানিক, তার নাচের নেশায় ঝিমায় দশ্দিক। আধো-রাতে আমি শুনি স্বপনে তার গুঞ্জন-গীত কানে-কথা গোপনে, কালো-রূপের শিখা, ওকি শ্যামা বালিকা নাচে নাচে জাগাইতে নটরাজে।।
কুল্ মখলুক গাহে হজরত
বাণী
কুল্ মখলুক গাহে হজরত বালাগাল উলা বেকামালিহি। আঁধার ধরায় এলে আফতাব কাশাফাদ্দুজা বেজামালিহি।। রৌশনীতে আজো ধরা মশ্গুল তাই তো ওফাতে করি না কবুল, হাসনাতে আজো উজালা জাহান সাল্লু আলায়হি ওয়া আলিহি।। নাস্তিরে করি’ নিতি নাজেহাল্ জাগে তৌহীদ দ্বীন্-ই-কামাল, খুশ্বুতে খুশি দুনিয়া বেহেশ্ত সাল্লু আলায়হি ওয়া আলিহি।।
কলমা শাহাদতে আছে খোদার জ্যোতি
বাণী
কলমা শাহাদতে আছে খোদার জ্যোতি ঝিনুকের বুকে লুকিয়ে থাকে যেমন মোতি।। ঐ কলমা জপে যে ঘুমের আগে ঐ কলমা জপিয়া যে প্রভাতে জাগে, দুখের সংসার যার সুখময় হয়, তা’র — তার মুসিবত আসে নাকো, হয় না ক্ষতি।। হরদম জপে মনে কলমা যে জন খোদায়ী তত্ত্ব তা’র রহে না গোপন দিলের আয়না তার হয়ে যায় পাক সাফ আল্লার রাহে তার রহে মতি। সদা আল্লার রাহে তার রহে মতি।। এসমে আজম হতে কদর ইহার পায় ঘরে ব’সে খোদা রসুলের দিদার তাহারি হৃদয়াকাশে সাত বেহেশত নাচে আল্লার আরশে হয় আখেরে গতি। তার আল্লার আরশে হয় আখেরে গতি।
কপোত কপোতী উড়িয়া বেড়াই
বাণী
উভয়ে : কপোত কপোতী উড়িয়া বেড়াই সুদূর বিমানে আমরা দু’জনে। কানন-কান্তর শিহরি’ ওঠে মোদের প্রণয়-মদির কূজনে।। স্ত্রী : ভ্রমর গুঞ্জে মঞ্জুল গীতি, হেরিয়া আমার বঁধূর প্রীতি, পুরুষ : আমার প্রিয়ার নয়নে চাহি’ কুসুম ফুটে ওঠে বিপিনে বিজনে।। স্ত্রী : তোমা ছাড়া স্বর্গ চাহি না, প্রিয়! মোদের প্রেমে চাঁদ আসে নেমে মাটির পাত্রে পান করি অমিয়।। পুরুষ : বিশ্ব ভুলায়ে ও-রাঙা পায়ে আমারে বেঁধেছে জীবনে মরণে।।