কারো ভরসা করিসনে তুই
বাণী
কারো ভরসা করিসনে তুই (ও মন) এক আল্লার ভরসা কর। আল্লা যদি সহায় থাকেন (ও তোর) ভাবনা কিসের, কিসের ডর।। রোগে শোকে দুঃখে ঋণে নাই ভরসা আল্লা বিনে রে তুই মানুষের সহায় মাগিস (তাই) পাস্নে খোদার নেক্-নজর।। রাজার রাজা বাদশাহ্ যিনি গোলাম হ তুই সেই খোদার, বড় লোকের দুয়ারে তুই বৃথাই হাত পাতিস্নে আর। তোর দুখের বোঝা ভারি হ’লে ফেলে প্রিয়জনও যায় রে চ’লে সেদিন ডাক্লে খোদায় তাঁহার রহম (ওরে) ঝরবে রে তোর মাথার ’পর।।
কত নিদ্রা যাও রে কন্যা
বাণী
কত নিদ্রা যাও রে কন্যা জাগো একটু খানি যাবার বেলায় শুনিয়া যাই তোমার মুখের বাণী।। নিশীথিনীর ঘুম ভেঙে যায় চন্দ্র যখন হেসে তাকায় গো চাতাকিনী ঘুমায় কি গো দেখলে মেঘের পানি।। ফুলের কুঁড়ি চোখ মেলে চায় যেই না ভ্রমর বোলে (রে কন্যা) বসন্ত আসিলে রে কন্যা বনের লতা দোলে (রে কন্যা) যারা আছে প্রাণে প্রাণে জাগে তারা ঘুম না জানে আমি যখন রইব না গো (তখন) জাগবে তুমি জানি।।
কেন মরিতে আসিলাম যমুনায়
বাণী
কেন মরিতে আসিলাম যমুনায়, ললিতা কেন বিপরীত হেরিলাম। কৃষ্ণ-যমুনা-জলে কারে ল’য়ে কুতুহলে জল-খেলা করে ঘনশ্যাম।। কালো মেঘের যেন খেলে বিজলি সোনার-প্রতিমার প্রতিবিম্ব কালো জলে কালো মেঘে যেন খেলে বিজলি। হিরন্ময়ী জ্যোতির্ময়ী সতিনীর রূপ আমি যত দেখি গো তত মজি সখি গো! অতি জ্যোতি গর্বিতা যেন পতি সোহাগিনী সতীসম কে এ সতিনী, ললিতে, মোর শ্যাম অঙ্গে অপরূপ ভঙ্গে আমারই সমুখে করে খেলা, মোরে ছলিতে। ও কি কায়া না ছায়া! ও কি কৃষ্ণ রূপের চঞ্চল জল-তরঙ্গ মায়া? সখি মান ভাঙাতে মোর এসেছিল গোপনে শ্যাম আজি প্রভাতে (সখি), শ্যাম-তনুমুকুরে হেরিলাম বিরাজে গৌর-বর্ণা নারী অপরূপ শোভাতে। এলো অভিমান মনে, তাই মনে হলে যমুনায় ডুবিয়া ললিতা শান্তি যদি পাই। এখানেও দেখি সেই গৌরী কিশোরী আছে শ্যামে জড়ায়ে। (ও কি কায়া না মায়া ও কি কৃষ্ণেরই রঙ্গ না আমারই ছায়া কায়া না মায়া।) কোন্ দেশে যাব সখি কোন্ খানে পাব শ্যামে একাকী। আন-নারীরে ছেড়ে কেবল রাধার হয়ে দেবে না দেখা কি (সখী গো)।।
গীতিচিত্র : ‘অভিমানিনী’