হেরেমের বন্দিনী কাঁদিয়া ডাকে
বাণী
হেরেমের বন্দিনী কাঁদিয়া ডাকে তুমি শুনিতে কি পাও? আখেরি নবী প্রিয় আল-আরবি বারেক ফিরে চাও।। পিঁজরার পাখি সম অন্ধকারায় বন্ধ থাকি' এ জীবন কেটে' যায়; কাঁদে প্রাণ ছুটে যেতে তব মদিনায় চরণের এই জিঞ্জির খুলে' দাও।। ফতেমার মেয়েদের হেরি' আঁখি-নীর বেহেশতে কেমনে আছ তুমি থির! যেতে নারি মসজিদে শুনিয়া আজান, বাহিরে ওয়াজ হয়, ঘরে কাঁদে প্রাণ ঝুটা এই বোরখার হোক অবসান — আঁধারে হেরেমে আশা-আলোক দেখাও।।
হেমন্তিকা এসো এসো হিমেল শীতল বন-তলে
বাণী
হেমন্তিকা এসো এসো হিমেল শীতল বন-তলে শুভ্র পূজারিণী বেশে কুন্দ-করবী-মালা গলে।। প্রভাত শিশির নীরে নাহি' এসো বলাকার তরণী বাহি' সারস মরাল সাথে গাহি' চরণ রাখি' শতদলে।। ভরা নদীর কূলে কূলে চাহিছে সচকিতা চখি — মানস-সরোবর হ'তে-অলক -লক্ষ্মী এলো কি? আমন ধানের ক্ষেতে জাগে হিল্লোল তব অনুরাগে, তব চরণের রঙ লাগে কুমুদে রাঙা কমলে।।
হের আহিরিণী মানস-গঙ্গা
বাণী
কৃষ্ণ : হের আহিরিণী মানস-গঙ্গা দুকূল পাথার। রাধা : হরি ভয়ে মরি একা নারী কিসে হব পার।। কৃষ্ণ : পারের কাণ্ডারি আমি প্যারী এসো আমার নায়। রাধা : ওগো একেলা গোপের কুলবধু আমি, তুমিও তরুণ মাঝি তায়।। কৃষ্ণ : যৌবন ভার ভারি পসার রাধে! তবু নাহি ভয়। রাধা : ওইটুকু তরী, ভয়ে মরি হরি, ভার যদি নাহি সয়। উভয়ে : হের মানস-গঙ্গায় উঠিয়াছে ঢেউ ঝড় বহে অনিবার।। রাধা : নাই পারের কড়ি পারে যাব কি করি, কৃষ্ণ : দিয়ে মন বাঁধা পারে চল কিশোরী। উভয়ে : মোরা ভেসেছি অকূলে প্রেমের গোকুলে কুলের ভয় কি আর।।
হরি হে তুমি তাই দূরে থাক স’রে
বাণী
হরি হে তুমি তাই দূরে থাক স’রে হরি প্রভু বলে মোরা দূরে রাখি পাষাণ দেউলে রাখিয়াছি হায় তোমারে পাষাণ করে॥ তোমায় চেয়েছিল গোপিনীরা সেদিনও চেয়েছি মীরা ডেকে প্রিয়তম বলে তোমায় গোপাল বলিয়া ডাকিয়া পাইল যশোদা মা শচী কোলে অন্তরতম হতে নিশিদিন থাক তুমি অন্তরে॥ দেবতা ভাবিয়া পূজা দিই মোরা তুমি তাহা নাহি খাও তুমি লুকায়ে ভিখারি সাজিয়া মোদের পাতের অন্ন চাও। রাখাল ছেলের আধ খাওয়া ফল কেড়ে খাও তুমি হে চির সজল মোরা ভয় করি তাই লুকাইয়া থাক তুমি অভিমান ভরে॥
হে প্রিয়! তোমার আমার মাঝে
বাণী
হে প্রিয়! তোমার আমার মাঝে এ বিরহের পারাবার কেমনে হইব পার।। নিশীথের চখা-চখির মতন দুই কূলে থাকি’ কাঁদি দুই জন আসিল না দিন মোদের জীবনে অন্তহীন আঁধার।। সেধেছিনু বুঝি বাদ কাহার মিলনে সে কোন্ জনমে তাই মিটিল না সাধ। স্মৃতি তব ঝরা পালকের প্রায় লুটায় মনের বালুচরে, হায়। সে কোন্ প্রভাতে কোন্ নবলোকে মিলিব মোরা আবার।।