বাণী

হে নিঠুর ! তোমাতে নাই আশার আলো।
তাই কি তোমার রূপ কৃষ্ণ কালো।।
তুমি ত্রিভঙ্গ তাই তব সকলি বাঁকা
চোখে তব কাজলের ছলনা মাখা।
নিষাদের হাতে বাঁশি সেজেছে ভালো।।

নাটকঃ ‘বিদ্যাপতি’

বাণী

হে মোহাম্মদ এসো এসো আমার প্রাণে আমার মনে।
এসো সুখে এসো দুখে আমার বুকে মোর নয়নে।।
আমার দিনের সকল কাজে
যেন তোমার স্মৃতি বাজে,
এসো আমার ঘুমের মাঝে —
	এসো আমার জাগরণে।।
কোরান দিলে, দিলে ঈমান, বেহেশ্‌তের দিশা দিলে,
পাপে তাপে মগ্ন আমায় খোদার রাহে ডেকে নিলে।
	তোমায় আমি ভুলব কিসে
	আছ আমার রুহে মিশে,
আমি তোমার প্রেমের পাগল রেখো আমায় ঐ চরণে।।

বাণী

হে প্রবল দর্পহারী কৃষ্ণ-মুরারি।
শরণাগত আর্ত-পরিত্রাণ-পরায়ণ —
		যুগ যুগ সম্ভব নারায়ণ দানবারি।।
ভূ-ভার হরণে এসো জনার্দন হৃষিকেশ,
কল্কীরূপে অধর্ম নিধনে এসো দনুজারি —
		কংসারি গিরিধারী ডাকে ভয়ার্ত নরনারী।।
দুর্বল দীনের বন্ধু, জন-গণ ত্রাতা
নিঃস্বের সহায় পরমেশ বিশ্ব-বিধাতা,
		তিমির-বিদারি এসো মহা-ভারত-বিহারী।।
এসো উৎপীড়িতের নীরব রোদনে এসো
এসো বীরের আত্মদানে প্রাণ-উদ্বোধনে এসো,
দেশ-দ্রৌপদীর লজ্জাহারী, দৈত্য-গর্ব-খর্ব-কারী —
		শঙ্খ-চক্র-গদা-পদ্ম-ধারী।।

বাণী

হুল ফুটিয়ে গেলে শুধু পারলে না হায় ফুল ফোটাতে।
মৌমাছি যে ফুলও ফোটায় হুল ফোটানোর সাথে সাথে।।
	আঘাত দিলে, দিলে বেদন
	রাঙাতে হায়, পারলে না মন,
প্রেমের কুঁড়ি ফুটল না তাই পড়ল ঝ’রে নিরাশাতে।।
আমায় তুমি দেখলে নাকো, দেখলে আমার রূপের মেলা,
হায় রে দেহের শ্মশান-চারী, শব নিয়ে মোর করলে খেলা।
শয়ন-সাথি হলে আমার, রইলে নাকো নয়ন-পাতে।।
ফুল তুলে হায় ঘর সাজালে, করলে নাকো গলার মালা
ত্যাজি’ সুধা পিয়ে সুরা হলে তুমি মাতোয়ালা,
নিশাস ফেলে নিভাইলে যে-দীপ আলো দিত রাতে।।

বাণী

হয়ত আমার বৃথা আশা তুমি ফিরে আসবে না।
আশা-তরী ডুববে কূলে দুখের স্রোতে ভাসবে না।।
	হয়তো তুমি এমনি ক'রে
	পথ চাওয়াবে জনম ভ'রে
রইবে দূরে চিরতরে সামনে এসে হাসবে না।।
কামনা মোর রইলো মনে রূপ ধ'রে তা উঠলো না;
বারে বারে ঝরলো মুকুল ফুল হয়ে তা ফুটলো না।
	অবুঝ এ প্রাণ তবু কেন
	তোমার ধ্যানেই বিভোর হেন
তুমি চির চপল নিঠুর - জানি, ভালোবাসবে না।।

বাণী

হে গোবিন্দ, হে গোবিন্দ
ও রাঙা চরণ কমল ঘেরি
গুঞ্জরে কোটি ভক্তবৃন্দ।।
শত দুখ দিয়ে ভক্তের সাথ,
একি অনন্ত-লীলা তব নাথ
যোগী মুনি ঋষি বুঝিতে পারে না
তুমি অচিন্ত্য তুমি অনিন্দ্য
লীলা-রসিক হে গোবিন্দ।।

নাটিকা: ‘নরমেধ’