আমার আছে অসীম আকাশ
বাণী
আমার আছে অসীম আকাশ, তোমার আছে ঘর। তোমার আছে পারের তরী, আমার বালুচর।। তোমার আছে কূলের আশা আমার অকূল স্রোতে ভাসা, আমায় ডাকে (গো) দূর আলেয়া, তোমার প্রদীপ-কর।। থাকুক তোমার দখিন হাওয়া, আমার থাকুক ঝড়, তোমার তরে তরুর ছায়া, আমার তেপান্তর। তুমি ঘুমাও সুখের কোলে আমি ভুলে’ যাওয়ার দলে, হারিয়ে তোমায় মোর ধরণী হলো বিপুলতর।।
আমার মুক্তি নিয়ে কি হবে মা
বাণী
আমার মুক্তি নিয়ে কি হবে মা, (মাগো) আমি তোরেই চাই স্বর্গ আমি চাইনে মাগো, কোল্ যদি তোর পাই॥ (মাগো) কি হবে সে মুক্তি নিয়ে, কি হবে সে স্বর্গে গিয়ে; যেথায় গিয়ে তোকে ডাকার আর প্রয়োজন নাই॥ যুগে যুগে যে লোকে মা প্রকাশ হবে তোর (আমি) পুত্র হয়ে দেখব লীলা এই বাসনা মোর। তুই, মাখাস্ যদি মাখ্ব ধূলি, শুধু তোকে যেন নাহি ভুলি; তুই, মুছিয়ে ধূলি নিবি তুলি বক্ষে দিবি ঠাঁই॥
সখি লো তায় আন ডেকে
বাণী
সখি লো তায় আন ডেকে যে গান গেয়ে যায় পথ দিয়ে। সই দিব তারে কণ্ঠহার, তার কণ্ঠেরি ঐ সুর নিয়ে॥ কারুর পানে নাহি চায় সে আপন মনে গেয়ে যায় প্রাণ কাঁপে সুরের নেশায় নয়ন আসে ঝিমিয়ে॥ সখি লো শুধিয়ে আয় সে শিখিল এ গান কোথায় এত মধু তার গলায় কার অধর-সুধা পিয়ে॥ যার গানে এত প্রাণ মাতায় না জানি কি হয় দেখ্লে তায় তার সুর শুনে কেউ প্রাণ পায় কেউ ফেলে প্রাণ হারিয়ে॥
তোমার আকাশে উঠেছিনু চাঁদ
বাণী
তোমার আকাশে উঠেছিনু চাঁদ, ডুবিয়া যাই এখন। দিনের আলোকে ভুলিও তোমার রাতের দুঃস্বপন।। তুমি সুখে থাক আমি চলে যাই, তোমারে চাহিয়া ব্যথা যেন পাই, জনমে জনমে এই শুধু চাই — না-ই যদি পাই মন।। ভয় নাই রাণী রেখে গেনু শুধু চোখের জলের লেখা, জলের লিখন শুকাবে প্রভাতে, আমি চলে যাব একা! ঊর্ধ্বে তোমার প্রহরী দেবতা, মধ্যে দাঁড়ায়ে তুমি ব্যথাহতা, — পায়ের তলার দৈত্যের কথা ভুলিতে কতক্ষণ।।
ফোরাতের পানিতে নেমে
বাণী
ফোরাতের পানিতে নেমে ফাতেমা দুলাল কাঁদে অঝোর নয়নে রে।। দু'হাতে তুলিয়া পানি ফেলিয়া দিলেন অমনি — পড়িল কি মনে রে।। দুধের ছাওয়াল আসগর এই পানি চাহিয়ে রে, দুশ্মনের তীর খেয়ে বুকে ঘুমাল খুন পিয়ে রে; শাদীর নওশা কাশেম শহীদ এই পানি বিহনে রে।। এই পানিতে মুছিল রে হাতের মেহেদী সকিনার, এই পানিরই ঢেউয়ে ওঠে, তারি মাতম্ হাহাকার; শহীদানের খুন মিশে আছে, এই পানিরই সনে রে।। বীর আব্বাসের বাজু শহীদ হ'ল এরি তরে রে, এই পানির বিহনে জয়নাল খিয়াম তৃষ্ণায় মরে রে; শোকে শহীদ হ'লেন হোসেন জয়ী হয়েও রণে রে।।