বাণী

ললাটে মোর তিলক একো মুছে বঁধুর চরণ-ধুলি
আঁখিতে মোর কাজল মেখো ঘন শ্যামের বরণগুলি।।
	বঁধুর কথা মধুর প্রিয়
	কর্ণ মূলে দুলিয়ে দিও
বক্ষে আমার হার পরিও বঁধুর পায়ের নূপুর খুলি।।
তার পীত বসন দিয়ে ক'রো এই যোগিনীর উত্তরীয়
হবে অঙ্গেরই চন্দন আমার কলঙ্ক তার মুছে নিও।
	সে দেয় যা ফেলে মনের ভুলে
	তাই অঞ্চলে মোর দিও তুলে
তার বনমালার বাসি ফুলে ভ'রো আমার ভিক্ষা ঝুলি।।

বাণী

সে চ'লে গেছে ব'লে কি গো স্মৃতিও হায় যায় ভোলা
ওগো মনে হ'লে তারি কথা আজো মর্মে সে মোর দেয় দোলা।।
	ঐ প্রতিটি ধূলি কণায়
	আছে তার ছোঁওয়া লেগে হেথায়,
আজো তাহারি আসার আশায়, রাখি মোর ঘরেরই সব দ্বার খোলা।।
	হেথা সে এসেছিল যবে
	ঘর ভরেছিল ফুল-উৎসবে,
মোর কাজ ছিল শুধু ভবে তার হার গাঁথা আর ফুল তোলা।।
	সে নাই ব'লে বেশি ক'রে
	শুধু তার কথাই মনে পড়ে,
হেরি তার ছবি ভুবন ভ'‌রে তারে ভুলিতে মিছে বলা।।

বাণী

(হায়) 	তুমি চ’লে যাবে দূরে লায়লী তব মজনু কাঁদিবে একা।
	বুঝি পাব না তোমায় জীবনে বুঝি এই নিয়তির লেখা।।

নাটিকা: ‘লায়লী-মজনু’

বাণী

	আঁখি তোল আঁখি তোল না,
	দানো করুণা, ওগো অরুণা,
	মেলি’ নয়ন জীর্ণ কানন কর তরুণা।।
	আঁখি যে তোমার বনের পাখি —
	ঘুম যে ভাঙায় আঁধারে ডাকি’,
	আলোর-সাগর জাগাও বরুণা।।
তব 	আনত আঁখির পাতার কোলে
	তরুণ আলোর মুকুল দোলে।
	রঙের কুমার দুয়ারে জাগে,
	তোমার আঁখির প্রসাদ মাগে,
	পাণ্ডুর ভোর হোক তরুণারুণা।।

বাণী

পুরুষ	:	আজি মিলন বাসর প্রিয়া হের মধুমাধবী নিশা।
স্ত্রী	:	কত জনম অভিসারে শেষে প্রিয় পেয়েছি তব দিশা।।
পুরুষ	:	সহকার-তরু হের দোলে মালতী লতায় লয়ে বুকে,
স্ত্রী	:	মাধবী কাঁকন পরি' দেওদার তরু দোলে সুখে।
পুরুষ	:	হায় প্রাণ কানায় কানায় আজি পুরে
স্ত্রী	:	প্রাণ কানায় কানায় আজি পুরে
পুরুষ	:	হিয়া আবেশে পুলক মিশা
স্ত্রী	:	হিয়া আবেশ পুলক মিশা।।
পুরুষ	:	শরাব রঙের শাড়ি পরেছে চাঁদনি রাতি
স্ত্রী	:	চাঁদে ও তারাতে আজি মিলনের মাতামাতি
পুরুষ	:	হের জোয়া উতলা সিন্ধু পূর্ণিমা চাঁদের পেয়ে'
স্ত্রী	:	কোন দূর অতীত স্মৃতি মম প্রাণে-মনে ওঠে ছেয়ে।
পুরুষ	:	আজি মিলন-ঘন মেঘলোকে
স্ত্রী	:	আজি মিলন-ঘন মেঘলোকে
পুরুষ	:	প্রিয়া মিটিবে মরু-তৃষা
স্ত্রী	:	প্রিয় মিটিবে মরু-তৃষা।।
দ্বৈত	:	প্রিয় মিটিবে মরু-তৃষা।।

বাণী

দে দোল্‌ দে দোল্‌ ওরে দে দোল্‌ দে দোল্‌
জাগিয়াছে ভারত সিন্ধু তরঙ্গে কল-কল্লোল।।
পাষাণ গলেছে রে অটল টলেছে রে
জেগেছে পাগল রে ভেঙেছে আগল।।
বন্ধন ছিল যত হল খানখান রে
পাষাণ পুরীতে ডাকে জীবনেরি বান রে
মৃত্যু ক্লান্ত আজি কুড়াইয়া প্রাণ রে
দুর্মদ যৌবন আজি উতরোল।।
অভিশাপ রাত্রির আয়ু হল ক্ষয় রে
আর নাহি অচেতন আর নাহি ভয় রে
আজও যাহা আসেনি আসিবে সে জয় রে
আনন্দ ডাকে দ্বারে খোল দ্বার খোল।।