বাণী

খেলে চঞ্চলা বরষা-বালিকা
মেঘের এলোকেশে ওড়ে পুবালি বায়
দোলে গলায় বলাকার মালিকা।।
চপল বিদ্যুতে হেরি' সে চপলার
ঝিলিক হানে কণ্ঠের মণিহার,
নীল আঁচল হতে তৃষিত ধরার পথে
ছুড়ে ফেলে মুঠি মুঠি বৃষ্টি শেফালিকা।।
কেয়া পাতার তরী ভাসায় কমল-ঝিলে
তরু-লতার শাখা সাজায় হরিৎ নীলে।
ছিটিয়ে মেঠো জল খেলে সে অবিরল
কাজলা দীঘির জলে ঢেউ তোলে
আনমনে ভাসায় পদ্ম-পাতার থালিকা।।

বাণী

জাগো নারী জাগো বহ্নি-শিখা।
জাগো স্বাহা সীমন্তে রক্ত-টিকা।।
দিকে দিকে মেলি’ তব লেলিহান রসনা,
নেচে চল উন্মাদিনী দিগ্‌বসনা,
জাগো হতভাগিনী ধর্ষিতা নাগিনী,
বিশ্ব-দাহন তেজে জাগো দাহিকা।।
ধূ ধূ জ্ব’লে ওঠ ধূমায়িত অগ্নি,
জাগো মাতা, কন্যা, বধূ, জায়া, ভগ্নী!
পতিতোদ্ধারিণী স্বর্গ-স্খলিতা
জাহ্নবী সম বেগে জাগো পদ-দলিতা,
মেঘে আনো বালা বজ্রের জ্বালা
চির-বিজয়িনী জাগো জয়ন্তিকা।।

বাণী

মিনতি রাখো রাখো পথিক থাকো থাকো,
	এখনি যেয়ো না গো, না না না।
ক্ষণিক অতিথি বিদায়ের গীতি
	এখনি গেয়ো না গো, না না না।।
চৈতী পূর্ণিমা চাঁদের তিথি,
পুষ্প পাগল এ বনবীথি,
ধূলায় ছেয়ো না গো, না না না।।
বলি বলি ক'রে হয়নি যা বলা,
যে কথা ভরিয়াছিল বুকের তলা;
সে কথা না শুনে সুন্দর অতিথি হে
	যেতে চেয়ো না গো, না না না।।

বাণী

এরি লাগি তপস্যা কি করে আঁধার রাতি।।
সই দেখলো চেয়ে রূপ-সায়রে জ্বলে এ কোন্ বাতি
লক্ষ চাঁদের জোছনা হেথা কে রেখেছে পাতি’?

নাটক : ‘মধুমালা’ (স্বপনপরীর গান)

বাণী

দ্বৈত	:	ওগো নন্দ দুলাল নাচে ছন্দতালে
স্ত্রী	:	মধু মঞ্জির বোলে মণি কুন্তল দোলে
পুরুষ	:	চন্দন লেখা শোভে চারুভালে॥
স্ত্রী	:	রস যমুনায় জাগে ঢেউ উতরোল
পুরুষ	:	ব্রজগোপিকার প্রাণে লাগে তারি হিল্লোল
দ্বৈত	:	রাস পূর্ণিমা রাতে শিখী নাচে সাথে সাথে
		ফুল দোলে কুঞ্জেরই বকুল ডালে॥
স্ত্রী	:	নাচে নন্দ দুলাল বাজে মোহন বেণূ
পুরুষ	:	অঙ্গের লাবনিতে আলো করে অবনিতে
দ্বৈত	:	হাসিতে ঝরায় ফুল পরাগ রেণু।
স্ত্রী	:	রাঙা পায়ে রুমুঝুমু বাজে মধুর
পুরুষ	:	জীবন মরণ তার যুগল নূপুর
দ্বৈত	:	মুগ্ধ তারকা শশী রাতের দেউলে বসি
		আরতি প্রদীপ শিখা নিত্য জ্বালে॥

বাণী

কেন ঘুম ভাঙালে প্রিয় যদি ঠেলিবে পায়ে।
বৃথা বিকশিত কুসুম কি যাবে শুকায়ে,
একা বন-কুসুম ছিনু বনে ঘুমায়ে।।
ছিল পাশরি’ আপন-বেভুল কিশোর-হিয়া,
বধূর বিধূর-যৌবন কে দিলে জাগায়ে।।
প্রিয় গো প্রিয় —
আকাশ-বাতাস কেন ব্যথার রঙে তুমি দিলে রাঙায়ে।।

নাটক : ‘আলেয়া’