ফুল বীথি এলে অতিথি
বাণী
স্ত্রী: ফুল বীথি এলে অতিথি চম্পা মঞ্জরি-কুঞ্জে পড়ে ঝরি' চঞ্চল তব পায়। পুরুষ: কুড়ায়ে সেই ঝরা ফুল, চাঁপার মুকুল গেঁথেছি মোহন-মালিকা পরাব বলিয়া তোমার গলায়।। স্ত্রী: হে রূপ-কুমার, সুন্দর প্রিয়তম এলে যে ফিরিয়া দাসীরে স্মরিয়া জীবন সফল মম। পুরুষ: পরো কুন্তলে ধরো অঞ্চলে অমিলন প্রেম-পারিজাত, স্ত্রী: কি হবে লয়ে সে ফুল-মালা যাহা নিশি ভোরে শুকায়। পুরুষ: মোছ মোছ আঁখিধার লহ বাহুর হার ভোলে অতীত ব্যথায়। উভয়ে: বিরহ অবসানে মিলন মধুর প্রিয় এ মিলন নিশি যেন আর না পোহায়।।
এসো ঠাকুর মহুয়া বনে ছেড়ে বৃন্দাবন
বাণী
এসো ঠাকুর মহুয়া বনে ছেড়ে বৃন্দাবন, ধেনু দেব বেণু দেব মালা চন্দন॥ কেঁদে কেঁদে কয়লা খাদে যমুনা বহাব; পলাশ বনে জাগরণে নিশি পোহাব রাধা হয়ে বাঁধা দেব আমর প্রাণ মন॥ মোর নটকান রঙ শাড়ির আঁচল ছিঁড়ে, পীত ধড়া পরাব, নীল অঙ্গ ঘিরে। পিয়াল ডালে দোলনা বেঁধে দুলিব দুজন॥ ভাসুর-শ্বশুর দ্যাখে যদি করব নাকো লাজ বলব আমার শ্যামের বাঁশি বাজ রে আবার বাজ শ্যাম তোমার লাগি জাতি কুল দিব বিসর্জন।।
ঝুম্কো লতায় জোনাকি
বাণী
ঝুম্কো লতায় জোনাকি, মাঝে মাঝে বৃষ্টি। আবোল-তাবোল বকে কে, তারও চেয়ে মিষ্টি।। আকাশে সব ফ্যাকাশে, ডালিম-দানা পাকেনি চাঁদ ওঠেনি কোলে তার, মা ব’লে সে ডাকেনি।। রাগ করেছে বাঘিনী, বারো বছর হাসে না স্বপ্ন তাহার ভেঙ্গে যায়, খোকা কেন আসে না।। পাথর হয়ে আছে ঝিনুক, দুধের বাটি, দোলনা! মাকে বলে ‘খোকা কই?’ কিছুই খেলা হ’ল না।। তেমনি আছে ঘরের জিনিস, কিছুই ভাল লাগে না পা আছড়ে মা কেঁদে কয় ‘খোকা কেন ভাঙে না!’
চলচ্চিত্র : ‘দিকশূল’