বাণী

	দীন দরিদ্র কাঙালের তরে এই দুনিয়ায় আসি’,
	হে হজরত বাদশাহ হয়েছিলে উপবাসী।
(তুমি)	চাহ নাই কেহ হইবে আমীর, পথের ফকির কেহ
(কেহ)	মাথা গুঁজিবার পাইবে না ঠাঁই, কাহারো সোনার গেহ,
	ক্ষুধার অন্ন পাইবে না কেহ, কারো শত দাস-দাসী।।
(আজ)	মানুষের ব্যথা অভাবের কথা ভাবিবার কেহ নাই
	ধনী মুস্‌লিম ভোগ ও বিলাসে ডুবিয়া আছে সদাই,
(তাই)	তোমারেই ডাকে যত মুস্‌লিম গরীব শ্রমিক চাষী।।
	বঞ্চিত মোরা হইয়াছি আজ তব রহমত হ’তে
	সাহেবী গিয়াছে, মোসাহেবী করি ফিরি দুনিয়ার পথে,
	আবার মানুষ হব কবে মোরা মানুষেরে ভালবাসি’।।

বাণী

দুঃখ সাগর মন্থন শেষ ভারতলক্ষ্মী আয় মা আয়
কবে সে ডুবিলি অতল পাথারে উঠিলি না আর হায় মা হায়॥
	মন্থনে শুধু উঠে হলাহল
	শিব নাই পান কে করে গরল
অমৃত ভান্ড লয়ে আয় মাগো জ্বলিয়া মরি বিষের জ্বালায়॥
হরিৎ ক্ষেত্রে সোনার শস্যে দুলে না আর তোর আঁচল
শুকায়েছে মাগো মায়ের স্তন্য গাভীর দুগ্ধ নদীর জল।
	চাই না মোক্ষ চাই মা বাঁচিতে
	অক্ষয় আয়ু লয়ে ধরণীতে
চাই প্রাণ চাই ক্ষুধায় অন্ন মুক্ত আলোকে মুক্ত বায়॥

বাণী

দিন গেল মোর মায়ায় ভুলে মাটির পৃথিবীতে।
কে জানে কখন নিয়ে যাবে গোরে মাটি দিতে রে।।
	পাঁচ ভূতে আর চোরে মিলে
	রোজগার মোর কেড়ে নিলে;
এখন কেউ নাই রে পারে যাবার দুটো কড়ি দিতে রে।।
রাত্রি শুয়ে আবার যে ভাই উঠব সকাল বেলা,
বলতে কি কেউ পারি তবু খেলি মোহের খেলা।
	বাদ্‌শা আমির ফকির কত
	এলো আবার হল গত রে;
দেখেও বারেক আল্লার নাম জাগে নাকো চিতে।
এবার বসবি কবে ও ভোলা মন আল্লার তস্‌বিতে রে।।