বাণী

এলে কি বঁধু ফুল-ভবনে।
মেলিয়া পাখা নীল গগনে।।
একা কিশোরী লাজ বিসরি’
তোমারে স্মরি সঙ্গোপনে,
এসো গোধূলির রাঙা লগনে।।
পাতার আসন শাখায় পাত,
বালিকা কলির মালিকা গাঁথ,
দিনু গন্ধ-লিপি ভোর-পবনে।।

বাণী

সন্ধ্যা হল ওগো রাখাল এবার ডাক মোরে
বেণুর রবে ধেনুগণে ডাক যেমন করে।।
	সংসারেরি গহন বনে
	ঘুরে ফিরি শূন্য মনে
ডাকবে কখন বাঁশির সনে আমায় আপন ঘরে।।
ভেঙেছে মোর প্রাণের মেলা ভাঙলো মায়ার খেলা
মোরে ডাক এবার তোমার পায়ে, আর করো না হেলা।
	মোর জীবনের কিশোর রাখাল,
	বাঁশি শুনে কাটলো সকাল
তন্দ্রা আন ক্লান্ত চোখে, তোমার সুরের ঘোরে।।

বাণী

পিউ পিউ বোলে পাপিয়া
ফাল্গুন উন্মন বন ব্যাপিয়া।।
বিরহিনী মন বিহগী —
ওরি সাথে কাঁদে,একা
ঘরে নিশি জাগিয়া।।

বাণী

হে মোর স্বামী, অন্তর্যামী, লহ সকলি আমার।
লহ প্রীতি-প্রেম-পূজা লহ পায়ে গলার হার।।
	হে প্রিয়তম, সকলি লহ;
	মান-অভিমান ব্যথা-বিরহ।
দুঃখের দাহ, সুখের মোহ লহ হে অশ্রু-ধার।।
	যাহা কিছু আপন, দিতে যা বাকি
	যাহা কিছু গোপন, লুকায়ে রাখি
যাহা কিছু প্রিয় অঞ্চলে ঢাকি; লহ হে বঁধূ এবার।।
	তোমায় চাওয়ার পাওয়ার আশা,
	তোমায় না-পাওয়ার ব্যথা-নিরাশা,
তোমারে দিলাম মোর ভালোবাসা বিফলতা হাহাকার।।

বাণী

এসো প্রিয়, মন রাঙায়ে ধীরে ধীরে ঘুম ভাঙায়ে
মন মাধবী বন দুলায়ে, দুলায়ে, দুলায়ে।।
শোন ‘পিউ পিউ’ ডাকে পাপিয়া
মোরে সেই সুরে ডাক ‘পিয়া, পিয়া’
তব আদর-পরশ বুলায়ে, বুলায়ে, বুলায়ে।।
	যদি আন কাজে ভুলে রহি
	চলে যেও না হে মোর বিরহী
দিও প্রিয়, কাজ ভুলায়ে, ভুলায়ে, ভুলায়ে।।

বাণী

বনমালার ফুল জোগালি বৃথাই বন-লতা
বনের ডালায় কুসুম শুকায়, বনমালি কোথা।।
	শুকনো পাতার গুনে নূপুর
	চমকে ওঠে বনে ময়ূর,
রাস নাই আজ নিরাশ ব্রজে গভীর নীরবতা।।
যমুনা-জল উজান বেয়ে কদম-তলে আসি’
ভাটিতে যায় ফিরে, নাহি শু’নে শ্যামের বাঁশি।
	তমাল-ডালে ঝুলনা আর
	গোপীরা বাঁধেনি এবার,
শ্রাবণ এসে কেঁদে শুধায় ঘনশ্যামের কথা।।