গোধূলির রঙ ছড়ালে কে গো
বাণী
গোধূলির রঙ ছড়ালে কে গো আমার সাঁঝগগনে। মিলনের বাজে বাঁশি আজি বিদায়ের লগনে।। এতদিন কেঁদে কেঁদে ডেকেছি নিঠুর মরণে আজি যে কাঁদি বঁধূ বাঁচিতে হায় তোমার সনে।। আজি এ ঝরা ফুলের অঞ্জলি কি নিতে এলে, সহসা পূরবী সুর বেজে উঠিল ইমনে। হইল ধন্য প্রিয় মরন-তীর্থ মম সুন্দর মৃত্যু এলে বরের বেশে ষেশ জীবনে, এলে কে মোর সাঁঝ গগনে।।
গগনে পবনে আজি ছড়িয়ে গেছে রঙ
বাণী
গগনে পবনে আজি ছড়িয়ে গেছে রঙ নিখিল রাঙিল রঙে অপরূপ ঢঙ॥ চিত্তে কে নৃত্যে মাতে দোল লাগানো ছন্দে, মদির রঙের নেশায় অধীর আনন্দে, নাচিছে সমীরে পুষ্প, পাগল বসন্ত, বাজে মেঘ মৃদঙ।। প্রাণের তটে কামোদ নটে সুর বাজিছে সুমধুর — দুলে অলকানন্দ রাঙা তরঙ্গে শিখী কুরঙ্গ নাচে রঙিলা ভ্রুভঙ্গে, বাজিছে বুকে সুর-সারং কাফির সঙ্গ্
গুঞ্জা মালা গলে কুঞ্জে এসো হে কালা
বাণী
গুঞ্জা মালা গলে কুঞ্জে এসো হে কালা বনমালী এসো দুলায়ে বনমালা॥ তব পথে বকুল ঝরিছে উতল বায়ে দলিয়া যাবে বলে অকরুণ রাঙা পায়ে রচেছি আসন তরুণ তমাল ছায়ে পলাশ শিমুলে রাঙা প্রদীপ জ্বালা॥ ময়ূরে নাচাও তুমি তোমারি নূপুর তালে বেঁধেছি ঝুলনিয়া ফুলেল কদম ডালে তোম বিনা বনমালী বিফল এ ফুল দোল বাঁশি বাজাবে কবে উতলা ব্রজবালা॥
গুনগুনিয়ে ভ্রমর এলো ফুলের পরাগ মেখে
বাণী
গুনগুনিয়ে ভ্রমর এলো ফুলের পরাগ মেখে তোমার বনে ফুল ফুটেছে যায় ক'য়ে তাই ডেকে।। তোমার ভ্রমর দূতের কাছে যে বারতা লুকিয়ে আছে — দখিন হাওয়ায় তারি আভাস শুনি থেকে থেকে।। দল মেলেছে তোমার মনের মুকুল এতদিনে — সেই কথাটি পাখিরা গায় বিজন বিপিনে। তোমার ঘাটের ঢেউগুলি হায় আমার ঘাটে দোল দিয়ে যায় — লতায় পাতায় জোছনা দিয়ে সেই কথা চাঁদ লেখে।।
গেরুয়া রঙ মেঠো পথে বাঁশরি বাজিয়ে কে যায়
বাণী
গেরুয়া রঙ মেঠো পথে বাঁশরি বাজিয়ে কে যায়। সুরের নেশায় নুয়ে প'ড়ে ভুঁই-কদম তার পায়ে জড়ায়। আহা ভূঁই-কদম তারা পায়ে জড়ায়।। সুর শুনে তার সাঝেঁর ঠোটেঁ, বাঁকা শশীর হাসি ফোটে, গো-পথ বেয়ে ধেনু ছোটে রাঙা মাটির আবির ছড়ায়। তারা রাঙা মাটির আবির ছাড়ায়।। গগন গোঠে গ্রহ তারা সে সুর শুনে দিশেহারা হাটের পথিক ভেবে সারা ঘরে ফেরার পথ ভুলে যায়।। জল নিতে নদী কূলে কুলবালা কূল ভুলে সন্ধ্যা তারা প্রদীপ তুলে বাঁশুরিয়ার নয়নে চায়। তারা বাঁশুরিয়ার নয়নে চায়।।