ফুরিয়ে এলো রমজানেরি মোবারক মাস
বাণী
ফুরিয়ে এলো রমজানেরি মোবারক মাস আজ বাদে কাল ঈদ তবু মন করে উদাস।। রোজা রেখেছিলি, হে পরহেজগার মোমিন! ভুলেছিলি দুনিয়াদারি রোজার তিরিশ দিন; তরক করেছিলি তোরা কে কে ভোগ-বিলাস।। সারা বছর গুনাহ যত ছিল রে জমা, রোজা রেখে খোদার কাছে পেলি সে ক্ষমা, ফেরেশতা সব সালাম করে কহিছে সাবাস।।
নাটিকাঃ ‘ঈদল ফেতর’
ফাগুন-রাতের ফুলের নেশায় আগুন জ্বালায়
বাণী
ফাগুন-রাতের ফুলের নেশায় আগুন জ্বালায় জ্বলিতে আসে। যে-দীপশিখায় পুড়িয়া মরে পতঙ্গ ঘোরে তাহারি পাশে।। অথই দুখের পাথার-জলে, সুখের রাঙা কমল দোলে কূলের পথিক হারায় দিশা দিবস নিশা তাহারি বাসে।। সুখের আশায় মেশায় ওরা বুকের সুধায় চোখের সলিল মণির মোহে জীবন-দহে বিষের ফণির গরল-শ্বাসে। বুকের পিয়ায় পেয়ে হিয়ায় কাঁদে পথের পিয়া লাগি’ নিতুই নূতন স্বর্গ মাগি’ নিতুই নয়ন জলে ভাসে।।
ফুলে পুছিনু বল বল ওরে ফুল
বাণী
ফুলে পুছিনু, বল, বল ওরে ফুল! কোথা পেলি এ সুরভি, রূপ এ অতুল? 'যার রূপে উজালা দুনিয়া, কহে গুল, দিল সেই মোরে এই রূপ এই খোশবু। আল্লাহু আল্লাহু।। 'ওরে কোকিল, কে তোরে দিল এ সুর, কোথা পেলি পাপিয়া এ কন্ঠ মধুর? কহে কোকিল পাপিয়া, আল্লাহ গফুর, তাঁরি নাম গাহি 'পিউ পিউ' কুহু কুহু — আল্লাহু আল্লাহু।। 'ওরে রবি-শশী, ওরে গ্রহ-তারা কোথা পেলি এ রওশনী জ্যোতি ধারা?' কহে, আমরা তাহারি রূপের ইশারা মুসা, বেহুঁশ হলো হেরি' যে খুবরু আল্লাহু আল্লাহু।। যারে আউলিয়া আম্বিয়া ধ্যানে না পায় কূল-মখলুক যাঁহার মহিমা গায়, যে নাম নিয়ে এসেছি এইদুনিয়ায়, নাম নিতে নিতে মরি এই আরজু আল্লাহু আল্লাহু।।
ফোরাতের পানিতে নেমে
বাণী
ফোরাতের পানিতে নেমে ফাতেমা দুলাল কাঁদে অঝোর নয়নে রে।। দু'হাতে তুলিয়া পানি ফেলিয়া দিলেন অমনি — পড়িল কি মনে রে।। দুধের ছাওয়াল আসগর এই পানি চাহিয়ে রে, দুশ্মনের তীর খেয়ে বুকে ঘুমাল খুন পিয়ে রে; শাদীর নওশা কাশেম শহীদ এই পানি বিহনে রে।। এই পানিতে মুছিল রে হাতের মেহেদী সকিনার, এই পানিরই ঢেউয়ে ওঠে, তারি মাতম্ হাহাকার; শহীদানের খুন মিশে আছে, এই পানিরই সনে রে।। বীর আব্বাসের বাজু শহীদ হ'ল এরি তরে রে, এই পানির বিহনে জয়নাল খিয়াম তৃষ্ণায় মরে রে; শোকে শহীদ হ'লেন হোসেন জয়ী হয়েও রণে রে।।
ফিরে এলো সেই কৃষ্ণাষ্টমী তিথি
বাণী
ফিরে এলো সেই কৃষ্ণাষ্টমী তিথি, হে শঙ্খচক্রধারী! তোমার মাভৈঃ অভয় আকাশবাণী, কেন নাহি শুনি? হে মুরারি!! সেই ঘনঘটা দুর্যোগ-নিশি নিরাশা-আঁধারে ঢাকা দশদিশি; গগনে তেমনি ঘোর দুন্দুভি বাজে, ঝরে তেমনি অশ্রু-বারি।। আজো মানুষের আত্মা তেমনি কাঁদে আশা-যমুনার দুই পারে, এ-পারে দেবকী ও-পারে যশোদা আজো ডাকে মুক্তির বিধাতারে। আবার প্রেমের বংশী বাজাও, এই হানাহানি হিংসা ভুলাও, আর্ত-কলির গানের এ শেষ-কলি দাও শেষ করে ব্যথাহারী।।