পরজনমে দেখা হবে প্রিয়
বাণী
পরজনমে দেখা হবে প্রিয়। ভুলিও মোরে হেথা ভুলিও।। এ জনমে যাহা বলা হ’ল না, আমি বলিব না, তুমিও ব’লো না। জানাইলে প্রেম করিও ছলনা, যদি আসি ফিরে, বেদনা দিও।। হেথায় নিমেষে স্বপন ফুরায়, রাতের কুসুম প্রাতে ঝ’রে যায়, ভালো না বাসিতে হৃদয় শুকায়, বিষ-জ্বালা-ভরা হেথা অমিয়।। হেথা হিয়া ওঠে বিরহে আকুলি’ মিলনে হারাই দু’দিনেতে ভুলি’, হৃদয়ে যথায় প্রেম না শুকায় সেই অমরায় মোরে স্মরিও।।
পরদেশী মেঘ যাও রে ফিরে
বাণী
পরদেশী মেঘ যাও রে ফিরে। বলিও আমার পরদেশী রে।। সে দেশে যবে বাদল ঝরে কাঁদে নাকি প্রাণ একেলা ঘরে, বিরহ-ব্যথা নাহি কি সেথা বাজে না বাঁশি নদীর তীরে।। বাদল-রাতে ডাকিলে ‘পিয়া পিয়া পাপিয়া’, বেদনায় ভ’রে ওঠে নাকি রে কাহারো হিয়া। ফোটে যবে ফুল, ওঠে যবে চাঁদ জাগে না সেথা কি প্রাণে কোন সাধ, দেয় না কেহ গুরু গঞ্জনা সে দেশে বুঝি কুলবতী রে।।
পঞ্চ প্রাণের প্রদীপ-শিখায়
বাণী
পঞ্চ প্রাণের প্রদীপ-শিখায় লহ আমার শেষ আরতি। ওগো আমার পরম-পতি, ওগো আমার পরম-পতি।। বহু সে-কাল বাহির-দ্বারে দাঁড়িয়ে আছি অন্ধকারে, এবার দেহের দেউল ভেঙে দেখ্ব নিঠুর, তোমার জ্যোতি।। আমি তোমায় চেয়েছিলাম, শুধু এই সে অপরাধে, ধ্যান ভেঙেছ আমার, ফেলে নিত্য নূতন মায়ার ফাঁদে। আজ মায়ার ঘরে আগুন জ্বেলে পালিয়ে গেলাম পাখা মেলে, জীবন যাহার মিথ্যা স্বপন মরণে তার নাই ক ক্ষতি।। কেটে দিলাম নিঠুর হাতে যে বাঁধনে বেঁধেছিলে, রইল না আর আমার ব’লে কোনো স্মৃতি এ-নিখিলে। আবার যদি তোমার মায়ায় রূপ নিতে হয় নূতন কায়ায়, তোমার প্রকাশ রুদ্ধ যেথায় সেথায় যেন না হয় গতি।।