পরি জাফরানি ঘাগরি চলে শিরাজের পরী
বাণী
পরি’ জাফরানি ঘাগরি চলে শিরাজের পরী ইরানি কিশোরী হেসে’ হেসে’।। চপল চটুল রঙ্গে রঙ্গিলা নৃত্য বিভঙ্গে চলিছে সহেলি এলোকেশে।। পাপিয়া পিয়া পিয়া ডকে শাখে — পিয়া পিয়া পিয়া পিয়া কাহারে ভালোবেসে।। মনে সে শিরাজির নেশা লাগায় আঁখি-ইঙ্গিতে গোলাপ ফোটায়। তারি সুরে রহি’ রহি’ বিরহীর রবাব ঝুরে বুলবুলি পথ ভুলি’ ইহারি লাগি’ এলো এ দেশে।।
পথিক ওগো চল্তে পথে
বাণী
পথিক ওগো চল্তে পথে তোমায় আমায় পথের দেখা। ঐ দেখাতে দুইটি হিয়ায় জাগ্ল প্রেমের গভীর রেখা।। এই যে দেখা শরৎ-শেষে পথের মাঝে অচিন্ দেশে, কে জানে ভাই কখন কে সে চল্ব আবার পথটি একা।। এই যে মোদের একটু চেনার আবছায়াতেই বেদন জাগে ফাগুন হাওয়ার মদির ছোঁওয়া পূবের হাওয়ার কাঁপন লাগে। হয়ত মোদের শেষ দেখা এই এম্নি ক’রে পথের বাঁকেই রইল স্মৃতি চারটি আঁখেই চেনার বেদন নিবি লেখা।।
পরো সখি মধুর বধূ-বেশ
বাণী
পরো সখি মধুর বধূ-বেশ বাঁধো আকুল চাঁচর কেশ।। বাঁকা ভুরুর মাঝে পর খয়েরি টিপ বকুল-বেলার হার, ছাড় মলিন বাস শাড়ি চাঁপা রং পর পর আবার। অধর রাঙাও সলাজ হাসিতে মোছ নয়ন-ধার — বিদেশী বন্ধু তোমারে স্মরিয়া ফিরে এলো নিজ দেশ।। মিলন-দিনে আর সাজে না মুখ-ভার ভোলো ভোলো অভিমান, মধুরে ডাক কাছে তায়, জুড়াও তাপিত প্রাণ। অরুণ-রাঙা হোক অনুরাগের রঙে করুণ সজল নয়ান — মরম বীণায় উঠুক বাজিয়া মিলন-মধুর রেশ।।