নিরুদ্দেশের পথে আমি হারিয়ে যাদি যাই
বাণী
নিরুদ্দেশের পথে আমি হারিয়ে যাদি যাই নিত্য নূতন রূপে আবার আসবো এই হেথাই।। চাঁদনী রাতের বাতায়নে, রইবে চেয়ে উদাস মনে বলবো আমি হারাইনি গো, নাই ভাবনা নাই আকাশ থেকে তারার চোখে তোমার পানে চাই।। তুমি আকুল হয়ে ফিরবে কেঁদে যে বনপথ বেয়ে' ঝরা মুকুল হয়ে আমি সে পথ দেব ছেয়ে। তোমায়ভালোবেসে সাধ মেটেনি স্বামী মরেও মরতে পারব না তাই আমি দূরে গিয়ে দেখবো তোমায় কাছে যদি পাই।।
নন্দ দুলাল নাচে নাচে রে
বাণী
নন্দ দুলাল নাচে নাচে রে হাতে সরের নাড়ু নিয়ে নাচে ব্রজের গোপাল নাচে নাচে রে হাতে সরের নাড়ু নিয়ে নাচে ওসে হাতের নাড়ু মুখে ফেলে, আড় চোখে চায় হেলে দুলে যথায় গোপীর ক্ষীর নবনী দইয়ের হাঁড়ি আছে॥ শূন্য দু হাত শূন্যে তুলে দেয় সে করতালি বলে তাই তাই তাই নন্দ পিতায় কয় ইশারায় নাই ননী নাই নন্দ ধরতে গেলে যায় পিছিয়ে মুচকি হেসে যায় এগিয়ে যশোমতীর কাছে রে॥ কহে শিউরে উঠে শিমুল ফুল নাচ রে গোপাল নাচ নাচ রে নাচ রে গোপাল নাচ সারা গায়ে ঘুঙুর বেঁধে নাচে ডুমুর গাছ রে নাচ রে গোপাল নাচ শিমুল গায়ে নাচে সুখে কাঁটা দিয়ে ওঠে ফুল ফোটে মরা গাছে॥ নাচ ভুলে সে থমকে দাঁড়ায় মার চোখে জল দেখতে সে পায় রে ননী মাখা দু হাত দিয়ে চোখ মুছিয়ে লুকায় বুকের কাছে॥
নাচো শ্যাম-নটবর কিশোর-মুরলীধর
বাণী
নাচো শ্যাম-নটবর কিশোর-মুরলীধর অঙ্গ মিশায়ে মম অঙ্গে। তোমার নাচের শ্রী ফুটুক আমার এই নৃত্য-বিভঙ্গে।। মম রক্তে বাজুক তব পায়ের নূপুর আমার কণ্ঠে দাও বাঁশরির সুর, তব বাঁশরির সুর। লীলায়িত হয়ে উঠুক এ তনু তোমার প্রেম-আনন্দ-তরঙ্গে।। আমার মাঝে হরি, নাচো যবে তুমি আমি নাচি আপনা ভুলি’ হরি আমি নাচি আপনা ভুলি’ শরম ভরম যায় এই দেহ যমুনায় ছন্দের হিল্লোল তুলি’। মনে হয় আমি যেন রাসের রাধা জনম জনম আমি নাচি তব সঙ্গে।।
নূরের দরিয়ায় সিনান করিয়া
বাণী
নূরের দরিয়ায় সিনান করিয়া কে এলো মক্কায় আমিনার কোলে ফাগুন-পূর্ণিমা-নিশীথে যেমন আস্মানের কোলে রাঙা চাঁদ দোলে।। কে এলো কে এলো গাহে কোয়েলিয়া, পাপিয়া বুল্বুল্ উঠিল মাতিয়া, গ্রহতারা ঝুঁকে করিছে কুর্নিশ হুরপরী হেসে পড়িছে ঢ’লে।। জিন্নাতের আজ খোলা দরওয়াজা পেয়ে ফেরেশ্তা আম্বিয়া এসেছে ধেঁয়ে তাহ্রীমা বেঁধে ঘোরে দরুদ গেয়ে দুনিয়া টলমল্, খোদার আরশ টলে।। এলো রে চির-চাওয়া এলো আখেরি নবী সৈয়দে মক্কী মদনী আল্-আরবি, নাজেল হয়ে সে যে ইয়াকুত-রাঙা ঠোঁটে শাহ্দতের বাণী আধো আধো বোলে।।