বাণী

নিত্য শুদ্ধ কল্যাণ রূপে আছ তুমি মোর সাথে।
সান্দ্র নিবিড় সন্ধ্যায় যেই পথ ভুলি’, ধর হাতে।।
	প্রদোষে স্বরগ-পাশে
	তোমার করুণা ভাসে,
স্নিগ্ধ শান্ত চাঁদ হ’য়ে, প্রভু, আঁধারে পথ দেখাতে।।
মান তাজিয়া যে যায় প্রভু তোমার চরণ-তলে,
পূর্ণ-রূপে নেমে আস তার হৃদয়-পদ্ম-দলে।
	অবতার হও ভুপালিতে প্রভু
	প্রেম-যমুনার পারে রহ কভু,
দগ্ধ-পরানে বিরাজ হে স্বামী, দুঃখ-জ্বালা জুড়াতে।।

বাণী

	নবীন বসন্ত যে যায় যায় যায় রে।
	ফুলদল অবিরল, ঝ’রে পড়ে পায়,
		তার ঝ’রে পড়ে পায় রে।।
	আছে এখনো বেলা এখনো আছে ফুলের মেলা
	আয় নেচে গেয়ে খেলিয়া যাই ভুলের খেলা,
	আপন প্রেমে আপনি যে জন করিল হেলা।
	সেই উদাসী পানে ধায় কেন মন —
হায়, 	কেন প্রাণ তারে চায় চ’লে যায় যায় রে।।

নাটক : ‘সর্বহারা’

বাণী

নিশীথ জাগিয়া সে কি মোর গান শোনে।
যে গান ভাসিয়া যায় আজি নিশি-পবনে।।
বলাকা মালার মত আকাশের কোলে,
তারা যেতে যেতে হায়,
ছায়া ফেলিয়া কি যায় —
		তার মন-বাতায়নে।।
মোর কুণ্ঠিতা বাণী সুরের গুণ্ঠনে শিহরায় আবেশে,
শুনিয়া আমার গান আমার চেয়ে কি গো মোর কথা ভাবে সে।
আমার সঙ্গীত-ইঙ্গিত তাহারে,
আনিবে না কি মোর পথের ধারে।
সুমুখে যে কথা তায়,
বলিতে পারি না হায় —
গানের আড়ালে তাই জানাই গোপনে।।

বাণী

নামাজী, তোর নামাজ হলো রে ভুল।
মসজিদে তুই রাখিরি সিজ্‌দা, ছাড়ি ইমানের মূল॥
	নামাজে সামিল হয়ে জামাতের,
	আউড়ালি মুখে সুরা কোরানের,
ভাব্‌লি কি তুই পার হয়ে গেলি, পুলসেরাতের পুল॥
আজ মিলন তীর্থে বাঁধ রে কাতার মনের জায়নামাজে,
সেই আরফাতে তোর নুয়ে দে দিল না ফরমানি লাজে,
	ওজু করে ফের তৌবার নীরে,
	তহরিম বাঁধ ভীতু নত শিরে,
বন্দেগী তোর কবুল হবে রে, কিয়ামতে পাবি কূল ॥

বাণী

নামাজ রোজা হজ্জ-যাকাতের পসারিণী আমি
নবীর কল্‌মা হেঁকে ফিরি পথে দিবস-যামী।।
আমার নবীজির পিয়ারি আয়রে ছুটে মুসলিম নারী,
দ্বীনের সওদা করবি কে আয় আয় রে মুক্তিকামী।।
জন্ম আমার হাজার বছর আগে আরব দেশে
সারা ভুবন ঠাঁই দিয়েছে আমায় ভালোবেসে।
আমার আজান ধ্বনি বাজে — কুল মোমিনের বুকের মাঝে
আমি নবীর মানস কন্যা আল্লাহ্‌ মোর স্বামী।।

বাণী

নিশিদিন জপে খোদা দুনিয়া জাহান — জপে তোমারি নাম।
তারায় গাঁথা তস্‌বি ল’য়ে নিশীতে আসমান — জপে তোমারি নাম।।
	ফুলের বনে নিতি গুঞ্জরিয়া
	ভ্রমর বেড়ায় তব নাম জপিয়া,
হাতে ল’য়ে ফুলকুঁড়ির তস্‌বি ফুলের বাগান — জপে তোমারি নাম।।
	সাঁঝ সকালে কোকিল পাপিয়া
	মধুর তব নাম ফেরে গাহিয়া,
ছল ছল সুরে ঝর্নার ধারা নদীর কলতান — জপে তোমারি নাম।।
	বৃষ্টি ধারার তস্‌বি ল’য়ে
	তব নাম জপে মেঘ ব্যাকুল হয়ে,
সাগর-কল্লোল, সমীর-হিল্লোল বাদল ঝড়-তুফান — জপে তোমারি নাম।।