নিশিদিন তব ডাক শুনিয়াছি মনে মনে
বাণী
নিশিদিন তব ডাক শুনিয়াছি মনে মনে শ্রবণে শুনিনি আহ্বান তব পবনে শুনেছি বনে বনে।। হে বিরহী তব আতাস পাণ্ডু করেছে তোমার আকাশ বিজনে তোমারে করিয়াছি ধ্যান শুধা যে ফিরিনি জনে জনে।। সকলে যখন ঘুমায়ে পড়েছে আধ রাতে স্মৃতি মঞ্জুষা খুলিয়া দেখেছি নিরালাতে। যদি তব ছবি ম্লান হয়ে যায় অশ্রু সলিলে ধুয়ে রাখি তায় দেবতা তোমারে মৌন পূজায় নীরবে ধেয়াই নিরজনে।।
নাই হ'ল মা বসন ভূষণ এই ঈদে আমার
বাণী
নাই হ'ল মা বসন ভূষণ এই ঈদে আমার। আল্লা আমার মাথার মুকুট রসুল গলার হার।। নামাজ রোজার ওড়না শাড়ি, ওতেই আমায় মানায় ভারি, কল্মা আমার কপালে টিপ, নাই তুলনা তার।। হেরা গুহারই হীরার তাবিজ, কোরান বুকে দোলে হাদিস্ ফেকাহ্ বাজুবন্দ্ দেখে পরাণ ভোলে। হাতে সোনার চুড়ি যে মা, হাসান হোসেন মা ফাতেমা, মোর অঙ্গুলিতে অঙ্গুরি, মা নবীর চার ইয়ার।।
নিরুদ্দেশের পথে আমি হারিয়ে যাদি যাই
বাণী
নিরুদ্দেশের পথে আমি হারিয়ে যাদি যাই নিত্য নূতন রূপে আবার আসবো এই হেথাই।। চাঁদনী রাতের বাতায়নে, রইবে চেয়ে উদাস মনে বলবো আমি হারাইনি গো, নাই ভাবনা নাই আকাশ থেকে তারার চোখে তোমার পানে চাই।। তুমি আকুল হয়ে ফিরবে কেঁদে যে বনপথ বেয়ে' ঝরা মুকুল হয়ে আমি সে পথ দেব ছেয়ে। তোমায়ভালোবেসে সাধ মেটেনি স্বামী মরেও মরতে পারব না তাই আমি দূরে গিয়ে দেখবো তোমায় কাছে যদি পাই।।
নেহি তোড়ো ইয়ে ফুলোঁ কি
বাণী
নেহি তোড়ো ইয়ে ফুলোঁ কি ডালি রে হা। মালি ভোমরা বুলবুল তেরি গালি রে হা।। যাও সওতন কে পাশ শুনো ভিগা ভিগা বাত ম্যায়তো হোনেকা চাহতি হুঁ প্রীত বিমার — আভি চাহ ফেকা যায়েগা কালীরে হা।। হায়রে হায় বান্দা আব দালা যৌবন আভি আভি ফুলো মে নেহি আয়ি হ্যায় সৌগন্ধ, আভি গালো পে আয়ি নেহি লালীরে হা।। নেহি আও আভি নাজানে পাও নেহি বাত আভি ছোটি হ্যায় ফুল কলি কাচ্চা আনার যৌবন সে ম্যায় অব তক আনজানে হা।।
নৃত্যকালী শঙ্কর সঙ্গে নাচে
বাণী
নৃত্যকালী শঙ্কর সঙ্গে নাচে অতি রুদ্র-বিহঙ্গে। ছন্দ ঝরে ঝর্ঝর ধারায় মন্দাকিনী গঙ্গা তরঙ্গে।। মুক্তবেণী ধূর্জটি-জটা বিধূনিত অম্বরে দোলে সসাগরা ভীতা পৃথ্বী কাঁপে মহাবিষ্ণুর কোলে, বাজে ঘোর ডম্বরু শিঙ্গা উল্কা ছোটে ভ্রুকুটি ভঙ্গে।। মৃত্যু-ক্ষুধা জাগিল একি রে, সৃষ্টি-স্থিতি সংহার মানসে। পঞ্চভূত চিত্ত অহঙ্কার ব্রহ্মা-হরি লয় হ’ল ব্রহ্মে উগ্র তারা রুদ্রেরে আবরি’ নাচে একা উন্মাদ দম্ভে, একি হেরি মূর্ছিতা শক্তি সোহম্ শিব আমারি অঙ্গে।।