বাণী

নূপুর মধুর রুনুঝুনু বোলে।
মন-গোকুলে রুনুঝুনু বোলে।।
	কূলের বাঁধন টুটে,
	যমুনা উথলি' ওঠে,
পুলকে কদম ফোটে পেখম খোলে
	শিখী পেখম খোলে।।
ব্রজনারী কুল ভুলে'
	লুটায় সে পদমুলে
চোখে জল, বুকে প্রেম- তরঙ্গ দোলে।।
	শ্রীমতি রাধারই সাথে
	বিশ্ব ছুটেছে পথে,
হরি হরি ব'লে মাতে ত্রিভুবন ভোলে।
	নামে ত্রিভুবন ভোলে।।

বাণী

নাই হ'ল মা বসন ভূষণ এই ঈদে আমার।
আল্লা আমার মাথার মুকুট রসুল গলার হার।।
নামাজ রোজার ওড়না শাড়ি, ওতেই আমায় মানায় ভারি,
কল্‌মা আমার কপালে টিপ, নাই তুলনা তার।।
হেরা গুহারই হীরার তাবিজ, কোরান বুকে দোলে
হাদিস্‌ ফেকাহ্‌ বাজুবন্দ্‌ দেখে পরাণ ভোলে।
হাতে সোনার চুড়ি যে মা, হাসান হোসেন মা ফাতেমা,
মোর অঙ্গুলিতে অঙ্গুরি, মা নবীর চার ইয়ার।।

বাণী

নিশুতি রাতের শশী গো।
ঘুমায় সকলে নিশীথ নিঝুম
হরিল কে নয়নেরই ঘুম,
কার অভিসারে জাগো গগন-পারে —
চাঁদ ভুলানো সে-কোন্ রূপসী।।
লুকায়ে হেরি আমি অভিসার তব
তারকারা হেরে লুকায়ে নীরব,
কপট ঘুম ভেঙে হের হাসিছে সব —
দূর অলকার বাতায়নে বসি’।।

নাটকঃ ‘সাবিত্রী’

বাণী

নিখিল ঘুমে অচেতন সহসা শুনিনু আজান
শুনি’ সে তকবিরের ধ্বনি আকুল হল মন-প্রাণ
বাহিরে হেরিনু আসি বেহেশতী রৌশনীতে রে
ছেয়েছে জমিন ও আসমান
আনন্দে গাহিয়া ফেরে ফেরেশ্‌তা হুর গেলেমান —
এলো কে, কে এলো ভুলোকে! দুনিয়া দুলিয়া উঠিল পুলকে।।
তাপীর বন্ধু, পাপীর ত্রাতা, ভয়-ভীত পীড়িতের শরণ-দাতা
মুকের ভাষা নিরাশার আশা, ব্যথার শান্তি, সান্ত্বনা শোকে
এলো কে ভোরের আলোকে।।
দরুদ পড় সবে : সাল্লে আলা, মোহাম্মদ মোস্তফা সাল্লে আলা।
কেহ বলে, এলো মোর কম্‌লিওয়ালা — খোদার হাবীব কেহ কয় নিরালা
মোহাম্মদ মোস্তফা সাল্লে আলা।
কেহ বলে, আহমদ নাম মধু ঢালা — মোহাম্মদ মোস্তফা সাল্লে আলা।
মজনুঁরও চেয়ে হল দীওয়ানা সবে, নাচে গায় নামের নেশায় ঝোঁকে।।

বাণী

নিশি-পবন! নিশি-পবন! ফুলের দেশে যাও
ফুলের বনে ঘুমায় কন্যা তাহারে জাগাও — যাও যাও যাও।।
মৌ-টুস্‌টুস্‌ মুখখানি তার ঢেউ-খেলানো চুল
(ওরে) ভোমরার ঝাঁক-ঘেরা যেন ভোরের পদ্ম-ফুল
হাসিতে তার মাঠের সরল বাঁশির আভাস পাও
				যাও যাও যাও।।
চাঁপা ফুলের পুত্‌লি-ঘেরা চাঁপা রঙের শাড়ি
তারেই দেখতে আকাশ-গাঙে (ওরে) চাঁদ দেয় রে পাড়ি।
তার একটুখানি চোখের আদল বাদল-মেঘে পাও।
				যাও যাও যাও।।
	ধীরে ধীরে জাগাইয়ো তায়
	ঝরা-কুসুম ফেলিয়া গায়
জাগলে কন্যা যেন রে মোর পত্রখানি দাও —
				যাও যাও যাও।।

বাণী

নয়নে নিদ নাহি।
নিশীথ-প্রহর জাগি, একাকিনী গান গাহি।।
কোথা তুমি কোন দূরে, ফিরিয়া কি আসিবে না,
তোমার সাজানো বনে ফুটিয়া ঝরিল হেনা —
কত মালা গাঁথি, কত আর পথ চাহি।।
কত আশা অনুরাগে হৃদয় দেউলে রেখে
পূজিনু তোমারে পাষাণ, কাঁদিলাম ডেকে ডেকে।
এস অভিনামি ফিরে, নিরাশায় এ তিমিরে
			চাঁদের তরণী বাহি’।।