বাণী

কাঁদবো না আর শচীদুলাল তোমায় ডেকে ডেকে
		মোরা কাঁদবো না —
(প্রিয়) তুমি গেছ চলে তোমার প্রেম গিয়েছ রেখে 
		তাই কাঁদব না॥
	ত্যাগ যেখানে প্রেম যেখানে
	তোমার মধু-রূপ সেখানে
ওগো জগন্নাথের দেউল তোমায় রাখবে কোথায় ঢেকে॥
হল বৈরাগিনী ধরা তোমার চরণ ধূলি মেখে
তোমার মন্ত্র নিল অসীম আকাশ চাঁদের তিলক এঁকে।
	সুন্দর যা কিছু হেরি
	ওগো রূপ সে শচী-নন্দনেরি
তোমার ডাক শুনি যে আজো হৃদয়পুরীর সাগর থেকে।
তোমার ডাক শুনি যে ওহে প্রিয়
ডাক শুনি যে আজো হৃদয়পুরীর সাগর থেকে॥

বাণী

‘কালী কালী’ মন্ত্র জপি ব’সে শোকের ঘোর শ্মশানে।
মা অভয়ার নাম গুণে শান্তি যদি পাই এ প্রাণে।।
	এই শ্মশানে ঘুমিয়ে আছে
	যে ছিল মোর বুকের কাছে,
সে হয়ত আবার উঠবে জেগে মা ভবানীর নাম-গানে।।
সকল সুখ শান্তি আমার নিল হ’রে যে-পাষাণী,
শূন্য বুকে বন্দী ক’রে রাখব আমি তারেই আনি’।
	মোর, যাহা প্রিয় মাকে দিয়ে
	জাগি আশার দীপ জ্বালিয়ে,
মা’র সেই চরণের নিলাম শরণ, যে-চরণে মা আঘাত হানে।।

১. বুকে চিতা, ২. যে চরণে প্রলয় আনে

বাণী

কেন ঘুম ভাঙালে প্রিয় যদি ঠেলিবে পায়ে।
বৃথা বিকশিত কুসুম কি যাবে শুকায়ে,
একা বন-কুসুম ছিনু বনে ঘুমায়ে।।
ছিল পাশরি’ আপন-বেভুল কিশোর-হিয়া,
বধূর বিধূর-যৌবন কে দিলে জাগায়ে।।
প্রিয় গো প্রিয় —
আকাশ-বাতাস কেন ব্যথার রঙে তুমি দিলে রাঙায়ে।।

নাটক : ‘আলেয়া’

বাণী

কালো জাম রে ভাই! আম কি তোমার ভায়রা ভাই?
লাউ বুঝি তোর দিদি মা, আর কুমড়ো তোর দাদা মশাই।।
তরমুজ তোমার ঠাকুমা বুঝি কাঁঠাল তোমার ঠাকুরদা
গোলাপজাম তোর মাসতুতো ভাই জামরুল কি ভাই তোর বোনাই।।
পেয়ারা কি তোর লাটিম রে ভাই চিচিঙ্গে তোর লাঠি
জাম্বুরা তোর ফুটবল আর লংকা চুষি কাঠি।
টোপা কুল তোর বৌ বুঝি আর বৈচি লেবু তোর বেহাই।
নোনা আতা সোনা ভাই তোর রাঙা দি তোর লাল মাকাল,
ডাব বুঝি তোর পানি-পাঁড়ে ঢিল বুঝি ভাদুরে তাল।
গেছো দাদা আয় না নেমে গালে রেখে চুমু খাই।।

বাণী

কাছে তুমি থাকো যখন তখন আমি দিই না ধরা।
দূরে থেকে কাঁদো যখন তখনি হই স্বয়ম্বরা।।
	তখন তোমার অভিসারে
	মন ছুটে যায় অন্ধকারে
তখন ওঠে বিরহেরি ব্যাকুল রোদন পাগল পারা।।
প্রিয়, তুমি যবে রহ পাশে —
কেন এতো ভয় জাগে গো, কেন মনে দ্বিধা আসে!
	ভিক্ষা যখন চাও ভিখারি
	হাত কাঁপে গো দিতে নারি,
তুমি চ'লে গেলে লুকিয়ে কাঁদি ভিক্ষা নিয়ে আঁচল ভরা।।

বাণী

কে পরালো মুণ্ডমালা আমার শ্যামা-মায়ের গলে।
সহস্র দল জীবন কমল দোলে রে যার চরণ-তলে।।
	কে বলে মোর মা-কে কালো,
	মায়ের হাসি দিনের আলো
মায়ের আমার গায়ের জ্যোতি গগন পবন জলে স্থলে।।
শিবের বুকে চরণ যাঁহার কেশব যাঁরে পায় না ধ্যানে,
শব নিয়ে সে রয় শ্মশানে কে জানে কোন অভিমানে।
	সৃষ্টিরে মা রয় আবরি'
	সেই মা নাকি দিগম্বরী?
তাঁরে অসুরে কয় ভয়ঙ্করী ভক্ত তাঁয় অভয়া বলে।।