কেন মনে জাগে উদাসিনী গৌরী
বাণী
কেন মনে জাগে উদাসিনী গৌরী উমার স্মৃতি! আর কত দূরে কত দেরি আনন্দময়ীর আসার তিথি।। কেন পদ্মদীঘি দুলে ওঠে হৃদয়ে মোর নন্দিনী মা আসে কি রাঙা চরণ ল’য়ে? কেন নয়নের বাতায়নে উতলা হ’ল, অশ্রুর ভ্রমর-বীথি।। তার মন নাই, উন্মনা চিন্ময়ী সে, তাই ছেলের কথা মনে নাই, শারদ-শ্রী এলো, পরমা-শ্রী কই — কাঁদি আর পথ-পানে চাই। ওকি ঘরে এসে, নাম ধরে, ডেকে চ’লে যায় শিউলির অঞ্জলি ফেলে আঙিনায়, ভোরের ভৈরবী বুকে মোর কাঁদে গো, ওকি তার করুণ-গীতি।।
গীতিচিত্রঃ শারদ-শ্রী
কেন কাঁদে পরান কি বেদনায় কারে কহি
বাণী
কেন কাঁদে পরান কি বেদনায় কারে কহি। সদা কাঁপে ভীরু হিয়া রহি’ রহি’।। সে থাকে নীল নভে আমি নয়ন-জল-সায়রে সাতাশ তারার সতীন-সাথে সে যে ঘুরে মরে কেমনে ধরি সে চাঁদে রাহু নহি।। কাজল করি’ যারে রাখি গো আঁখি-পাতে স্বপনে যায় সে ধুয়ে গোপনে অশ্রু-সাথে। বুকে তায় মালা করি’ রাখিলে যায় সে চুরি বাঁধিলে বলয়-সাথে মলয়ায় যায় সে উড়ি’ কি দিয়ে সে উদাসীর মন মোহি’।।
কে পরালো মুণ্ডমালা আমার শ্যামা-মায়ের গলে
বাণী
কে পরালো মুণ্ডমালা আমার শ্যামা-মায়ের গলে। সহস্র দল জীবন কমল দোলে রে যার চরণ-তলে।। কে বলে মোর মা-কে কালো, মায়ের হাসি দিনের আলো মায়ের আমার গায়ের জ্যোতি গগন পবন জলে স্থলে।। শিবের বুকে চরণ যাঁহার কেশব যাঁরে পায় না ধ্যানে, শব নিয়ে সে রয় শ্মশানে কে জানে কোন অভিমানে। সৃষ্টিরে মা রয় আবরি' সেই মা নাকি দিগম্বরী? তাঁরে অসুরে কয় ভয়ঙ্করী ভক্ত তাঁয় অভয়া বলে।।