কত যুগ যেন দেখিনি তোমারে
বাণী
কত যুগ যেন দেখিনি তোমারে দেখি নাই কতদিন। তুমি যে জীবন, তোমারে না হেরি’, হয়েছিনু প্রাণহীন।। তুমি যেন বায়ু, বায়ু যবে নাহি বয় আমি ঢুলে পড়ি আয়ু মোর নাহি রয়, তুমি যেন জল, বাঁচিতে পারিনা জল বিনা আমি মীন।। তুমি জানো নাগো তব আশ্রয় বিনা আমি কত অসহায়, তুমি না ধরিলে আমার এ তনু বাতাসে মিশায়ে যায়। তাই মোর দেহ পাগলের প্রায় তোমার অঙ্গ জড়াইতে চায়, তাই উপবাসী তনু মোর হের দিনে দিনে হয় ক্ষীণ।।
কুঁচবরণ কন্যা রে তার মেঘ-বরণ কেশ
বাণী
কুঁচবরণ কন্যা রে তার মেঘ-বরণ কেশ। ওরে আমায় নিয়ে যাও রে নদী সেই সে কন্যার দেশ রে।। পরনে তার মেঘ-ডম্বুর উদয়-তারার শাড়ি ওরে রূপ নিয়ে তার চাঁদ-সুরুজে করে কাড়াকাড়ি রে আমি তারি লাগি রে আমি তারি লাগি বিবাগী ভাই আমার চির-পথিক বেশ।। পিছ্লে পড়ে চাঁদের কিরণ নিটোল তারি গায়ে ওরে সন্ধ্যা-সকাল আসে তারি’ আল্তা হতে পায়ে রে। ও সে রয় না ঘরে রে ও সে রয় না ঘরে ঘুরে’ বেড়ায় ময়নামতীর চরে তা’রে দেখ্লে মরা বেঁচে ওঠে জ্যান্ত মানুষ মরে রে ও সে জল-তরঙ্গে বাজে রে তার সোনার চুড়ির রেশ।।
কে বলে মোর মাকে কালো
বাণী
কে বলে মোর মাকে কালো, মা যে আমার জ্যোতির্মতী। কোটি চন্দ্র সূর্য তারা নিত্য করে যার আরতি।। কালো রূপের মায়া দিয়ে মহামায়া রয় লুকিয়ে, মায়ের শুভ্ররূপ দেখেছে শুভ্র শুচি যার ভকতি।। যোগীন্দ্র যাঁর চরণ-তলে ধ্যান করে রে যাঁর মহিমা, দু’টি নয়ন-প্রদীপ জ্বেলে খুঁজি সেই অসীমার সীমা। সাজিয়ে কালী গৌরী মাকে পূজা করি তমসাকে, মায়ের শুভ্ররূপ দেখেছে শুভ্র শুচি যার ভকতি।।
কদম কেশর পড়ল ঝরি
বাণী
কদম কেশর পড়ল ঝরি তখন তুমি এলে। বাদল মেঘে গগন ঘেরি ঝড়ের কেতন মেলে।। ঝরিয়ে বন-কেয়ার রেণু বজ্ররবে বাজিয়ে বেণু, বৃষ্টি ভেজা দুর্বা দ’লে অরুণ-চরণ ফেলে।। নদীর দু’কূল ভাঙল যবে অধীর স্রোতের জলে, তখন দেখি হে অশান্ত তোমার তরী চলে। যূথীর নীরব অশ্রু ঝরে শ্যামল তোমার চরণ ’পরে, আকাশ চাহে তোমার পথে তড়িৎ প্রদীপ জ্বেলে।।