বাণী

ধানের ক্ষেতের ঢেউ লেগে আজ প্রাণের বাঁধন ভাঙল রে!
আমার মনের পুঞ্জিত মেঘ অরুণ-রঙে রাঙল রে।।
	নাচ ভুলেছে বনের কেকা
	দ্বন্দ ভুলে’ হলাম একা,
ময়ূরকণ্ঠী শুভ্র-হংস-মালার পরশ লাগল রে।।
মেহেদি ফুলের মঞ্জরি মোর মন কেবলি রঙ লুকায়,
শিলায় দলি’ রূপের কলি, আল্‌তা হবো তাহার পায়।
	জ্বাল দীপালি খোল রে দুয়ার
	আসে শারদ-জ্যোতির জোয়ার,
আবার আনন্দিনীর আগমনের কৃপার আশা জাগল রে।।

বাণী

	ধূলি-পিঙ্গল জটাজুট মেলে।
	আমার প্রলয় সুন্দর এলে॥
	পথে-পথে ঝরা কুসুম ছাড়ায়ে
	রিক্ত শাখায় কিশলয় জড়ায়ে,
	গৈরিক উত্তরী গগনে উড়ায়ে —
	রুদ্ধ ভবনের দুয়ার ঠেলে॥
	বৈশাখী পূর্ণিমা চাঁদের তিলক
		তোমারে পরাব,
মোর 	অঞ্চল দিয়া তব জটা নিঙাড়িয়া
		সুরধুনী ঝরাব।
	যে-মালা নিলে না আমার ফাগুনে
	জ্বালা তারে তব রূপের আগুনে,
	মরণ দিয়া তব চরণ জড়াব
	হে মোর উদাসীন, যেয়ো না ফেলে॥

বাণী

ধীরে যায় ফিরে ফিরে চায়।
চলে নব অভিসারে, ভীরু কিশোরী,
ওঠে পাতাটি নড়লে সে চম্‌কে।।
হরিণ নয়নে সভয় চাহনি,
আসিছে কে যেন দেখিবে এখনি
পথে সে দেয় ফেলে মুখর নূপুর খুলে,
আপন ছায়া হেরি ওঠে গা ছম্‌কে॥
‘চোখ গেল চোখ গেল’ ডাকে পাপিয়া
শুনিয়া শরমে ওঠে কাঁপিয়া;
হায়, যার লাগি এত, কোথায় সে
ঝিল্লি-রবে ভাবে কেউ হবে
বনে ফুল ঝরার আওয়াজে দাঁড়ায় সে থম্‌কে॥

বাণী

ধীরে বহ ভোরের হাওয়া ধীরে বহ ধীরে
ঘুমায়ে রয়েছে প্রিয়া এই পিয়াল নদীর তীরে।।
	যে ফুল ঝরিল ভোর রাতে
	সে ঘুমায় তাহার সাথে
	ঝরাপাতার মন্দিরে।।
শান্ত উদাস আকাশ নীরবে আছে চেয়ে'
ধীরে বহ নদী সকরুণ গান গেয়ে।
	ছলছল চোখে শুকতারা
	হেরিছে পলক-হারা
	তার বিদায় বেলার সঙ্গীরে।।

বাণী

ধীরে চল চরণ টলমল
সখি নতুন মদের নেশা
পিয়েছে বিষ-মেশা,
	চল্‌তে পথে উঠি চ’ম্‌কে।
এক খাওয়ালো মুখপোড়া কালো ছোঁড়া
	ওঠে অঙ্গ ক্ষণে ক্ষণে ছ’ম্‌কে।।
গুরুজনের কাছে ঢ’লে ঢ’লে পড়ি,
গেল কুলমান আমি লাজে মরি।
ও সে কদম-তলায়, বাঁশি বাজায়, আড় চোখে চায়,
পেলে একলা পথে আগ্‌লে দাঁড়ায় সে থ’ম্‌কে।।

চলচ্চিত্র : ‘পাতালপুরী’

বাণী

(সে) ধীরে ধীরে আসি'
আধো ঘুমে বাজাল বাঁশি।
	ফুল-রাখি দিল বাঁধি হাসি।।
জাগিয়া নিশি-ভোরে
না হেরি বাঁশির কিশোরে,
	চাঁদ-তরী বেয়ে গেল ভাসি।।